শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভূমিহীন পরিবারদের স্বপ্নের ঠিকানা খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

 কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নতিকরণে দীর্ঘদিনের সমস্যা হলো বিমানের দখলকৃত ভূমিতে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলা ৪৪০৯টি ভ‚মিহীন পরিবার। এসব ভ‚মিহীন পরিবারকে পুর্নবাসনের লক্ষে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে নির্মিত হচ্ছে ২শ ৪১ একর খাস জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্প-২। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত হবে ৫তলা বিশিষ্ট ২৪৫টি ভবন।
এসব ভবনে পুর্নবাসন করা হবে ৪৪০৯ ভ‚মিহীন পরিবারকে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নতিকরণ ও সম্প্রসারণে আর কোন বাধা থাকবেনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রানালয়, সেনা, নৌবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একযোগে কাজ করছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের পশ্চিমে রয়েছে সমুদ্র চ্যানেল ও দক্ষিণে বাঁকখালী নদী। ভ‚মিহীন পরিবারগুলোকে সমুদ্র ও বন্যার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট ও প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণ, রেঞ্চলেটার নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর শাখা কর্মকর্তা মো. কাজী নজরুল ইসলাম জানান, এসব প্রকল্পের মধ্যে মহেশখালী চ্যানেল পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে ¯েøাভ প্রটেকশনসহ বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ দশমিক ৮৭৪ কিলোমিটার। মাটি ভরাট করা হচ্ছে, ২শ ১২ একর জমিতে। ¯øইচ গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে ২ ভেন্ট ২টি, খাল পুনঃখনন করা করা হচ্ছে ২টি। কাজটি পরিচালনার দায়িত্বপায় নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডেট পক্ষে সাব ঠিকদার হিসেবে কাজ বাস্তবায়ন করছেন, ওয়েষ্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড।
এ প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক বশির আহমদ জানান, তারা ইতিমধ্যে ৪ সাইজের ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০২টি বøক নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করেছে। এর মধ্যে নদী ও সাগর তীরে নির্ধারিত পরিমানের বøক ডামপিংক করা হয়েছে। বাকিগুলো জিও টেক্সটাইল বসিয়ে প্লেসিং কাজ চলছে। মাটি ভরাটের কাজও দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের গুণগত মান বজায় রেখে বøক তৈরী ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সন্তোষজনকভাবে বাস্তবায়ন করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর শুরু করা হয়েছে। গত ২৫ জুন কাজ সম্পূর্ণ করার কথা থাকলেও প্রকল্পে নতুন করে আরো বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে নতুনভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দ ফেলে প্রকল্পের কাজ দ্রæত সম্পূর্ণ করা হবে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন