উত্তর : আপনি খুব কষ্ট করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। নিজের ও ভাইবোনের পড়ালেখার খরচও যোগান দিচ্ছেন। এটি খুবই নেকির কাজ। হাদিস শরীফে এমন ব্যক্তিকে বলা হয়েছে যে, সে আল্লাহর পথে আছে। যদি তার প্রয়োজন থাকে তাহলে যতদূর সম্ভব আপনার আব্বাকেও সামান্য কিছু দিতে পারলে খুবই ভালো হয়। সবার চাহিদা তো আপনার একার পক্ষে পুরোপুরি মেটানো সম্ভব নয়। সব যখন পারছেন তাহলে আব্বাকেও একটু স্মরণ করবেন। একান্তই যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত সদাচরণের দ্বারা তাকে সন্তুষ্ট রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এতে আপনার দুনিয়া ও আখেরাতে অফুরন্ত বরকত ও সওয়াব হবে। তবে আপনার আব্বা তার সংসার ও সন্তানদের প্রতি এমন কেন হলেন সেটিও একটি প্রশ্ন। তিনি কি অপারগ না উদাসীন? নাকি এখানে তার কোনো ত্রু টিও আছে। এসব বিষয় নিকটস্থ কোনো বড় আলেম ও বিজ্ঞ মুফতি সাহেবই বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দিতে পারবেন। আমি শুধু আপনাকে ভালোর চেয়ে ভালো সন্তান হওয়ার পথ বাতলে দিয়েছি। মাসয়ালার ক্ষেত্রে আপনার দায় আরো কমতে পারে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন