মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘হারিকেন’ ধরিয়ে দিল...

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

  পীরগঞ্জ উপজেলায় একটি স্বাস্থ্য সেবা নামক প্রতিষ্ঠান হারিকেন লাখ লাখ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা হারিকেন প্রতিষ্ঠানের চাকরীতে নিযুক্ত বেকার যুবকগণ প্রতারণার কথা জানতে পেরে ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের হন্ন হয়ে খুজছে। বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীর দৃষ্টিপাত হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার মাধ্যমে বেকার যুবকদের নিকট মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ও প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র না থাকার বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে উঠে আসে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি অবগত হয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের সঠিক কাগজপত্র না পাওয়ায় এবং প্রতারণা করার জন্য তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের মূল চৌরাস্তার মুন্সিপাড়া নামক এলাকায় সাবেক কমিশনার জয়নাল উদ্দীনের তিন তলা বিল্ডিয়ের নিচ তলায় কয়েকটি রুম ভাড়া নেয় হারিকেন নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তানজিম নাহার তিথি, পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। বিভিন্ন আসবাব পত্র রুমে পরিবেশন ও নজরকাড়া একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে এবং বিভিন্ন ভাবে শতাধিক বেকার ছেলে-মেয়েদের চাকুরী দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। গ্রামের পল্লী এলাকায় কিছু লোক নিয়োগ করে চিকিৎসার নামে রক্ত পরীক্ষা অন্য পরীক্ষার ফি হাতিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু পরিচালক, চেয়ারম্যান, জিএম এজিএম কর্তারা সর্বোপরি ধরাছোয়ার বাইরে থাকতো।
সরেজমিনে ঐ প্রতিষ্ঠানে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় কয়েক জন সিকিউরিটি গার্ড, পিয়ন ও রক্ত সংগ্রহকারী কর্মী রয়েছে। তারা জানায় পৌরসভা কার্যালয় থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স আর হারিকেন এর নিয়ম নীতিমালার একটি কাগজ ছাড়া স্বাস্থ্য সেবার নামে কোন কাগজ পত্র নেই। পরিচালক ও কর্মকর্তাগণের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায় সব সময় তারা বাইরে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে হারিকেন এর প্রতারক চেয়ারম্যান তানজিম নাহার তিথির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এর সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অপশক্তি ও হুমকি দেন। অন্যান্য নিয়োজিতদের মধ্যে এজিএম মনিরুজ্জামান, ফয়সাল আলম সহ কয়েক জনের নিকট কথা বললে তারা জানায় চাকুরী নিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ আমরা বুঝি না, চাকুরীর দরকার টাকা দিয়েছি চাকুরী করছি। বেতন পাই নাই এখন জানি এটা একটা প্রতারণা প্রতিষ্ঠান। তাদের মতো নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ড ইসমাইল, রবিন সহ ২৫-৩০ জন নিয়োজিত কর্মী জানায় বেকার রয়েছি, বিজ্ঞপ্তি পেয়ে চাকুরীর জন্য যোগাযোগ করে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে চাকুরী নিয়েছি। এভাবে এ উপজেলার পৌর শহর সহ ১০টি ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক বেকার যুবকদের ঠকিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডবিøউ এম রায়হান শাহ নিকট জানতে চাইলে তিনি জানায় ঐ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানি পরিচালক বা কর্মকর্তা থাকেন না, বৈধ কাগজপত্র কোন কিছু নেই। তাই আর যেন কেউ ঐ প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার স্বীকার না হয় এবং প্রতারণা কার্যক্রম চালাতে না পারে তাই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন