শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ত্রাণ তৎপরতায় মিয়ানমারের বাধা যুদ্ধাপরাধের শামিল

মানবাধিকার সংগঠন ফর্টিফাই রাইটস’র প্রতিবেদন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ বিতরণে সরকারের বাধা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফর্টিফাই রাইটস। মিয়ানমারে মানবাধিকারের অপব্যবহারের জন্য দায়ীদের বিচারের মুখে দাঁড় করাতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ার মধ্যে মানবাধিকার সংগঠনটি বৃহস্পতিবার একথা জানায়। রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ নিয়ে জাতিসংঘ গত ২৭ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এবার ফর্টিফাই রাইটস ত্রাণ তৎপরতায় মিয়ানমারের বাধা দেয়ার বিশদ বিবরণ দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনটি মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখে। পাঁচ বছর ধরে ২শ’ মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সংগঠনটি ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে। সাক্ষাৎকার নেওয়া বেশিরভাগ মানুষই কাচিন রাজ্যের অধিবাসী। রাখাইনের সংঘর্ষবিক্ষুব্ধ অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। তাছাড়া, কাচিন ও উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু গেরিলা ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষকে মিয়ানমার বিচ্ছিন্ন করে রাখছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারে ফর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডেভিড বাউলক বলেন, “মিয়ানমার সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কাচিন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষদেরকে মানবিক ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তাদের এ কার্যকলাপ যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে।” তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিষয়টি তদন্তের জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো। ফর্টিফাই রাইটস তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করে বলেছে, মিয়ানমারের সরকার নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে এবছর জুন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কর্মীদের করা আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশ মঞ্জুর হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনের এ সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো হতায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এনিয়ে মন্তব্য করতে পারছেন না বলে জানান। তবে মিয়ানমারে কর্মকর্তারা অতীতে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলে এসেছেন যে, গেরিলারা ত্রাণকে তাদের বিদ্রোহী তৎপরতার সমর্থনে কাজে লাগাচ্ছে বলেই তারা এতে বাধা দিচ্ছেন। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন