উপজেলায় ইলেকট্রিক মিটার চোর সিনডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ব্যয়বহুল শিল্প মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায়। চোরদের নিজস্ব ফোন নাম্বার মিটারের স্থলে লাগিয়ে যায়। গ্রাহকরা উক্ত ফোনে মিটারের বিষয়ে চোরদের সাথে কথা বললে তাদের নিজস্ব বিকাশে সর্বনিম্ন ৫০০ হাজার টাকা (মুক্তিপণ) পাঠানোর পর চোরেরা নির্ধারিত স্থানে মিটার রেখে ফোনের মাধ্যমে বলে দেয়। পরে সেখান থেকে মিটার উদ্ধার করছে গ্রাহকরা। ভুক্তভূগী মিটার গ্রাহক সরাই হাজীপুর গ্রামের মোঃ রাসেল খান জানান, এ সব শিল্প মিটার পেতে আমাদের ব্যয় হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এক বছরে আমার মিটার চুরি হয় তিনবার। উদ্ধার করতে খরজ হয় ২০ হাজার টাকা। গত কয়েক দিনে উপজেলায় আটটি মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অচ্ছুক আরেক জন ভুক্তভূগী জানান, এ ব্যাপারে পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করে কোন লাভ হয়নি। অপর দিকে সিরাজঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ভূঞাগাঁতী জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল কুদ্দুছ জানন, গ্রাহকের অভিযোগে গতকয়েক দিনে আটটি মিটার চুরির বিষয়ে জেনেছি। পরবর্তীতে গ্রাহক সেগুলো উদ্ধার করলে ওই মিটার লাগানোর কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মিটার রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব গ্রাহকদের। তবুও এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে আবগত করেছি। রায়গঞ্জ থানার ওসি পঞ্চনন্দন সরকার বলেন, এখন পযর্ন্ত গ্রাহকের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন