দিন দিন ব্যবধান বাড়ছে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বাণিজ্যের। একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ বেশি থাকলেও এখন আমদানির পরিমাণ ছয় গুণেরও বেশি। ব্যবসার সহজীকরণ, তথ্য-প্রযুক্তি, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার প্রসারসহ নানা ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হচ্ছেন সেখানে বিনিয়োগে। বিশ্লেষকদের অভিমত, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকেও। ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন যুদ্ধে জড়িয়ে ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। তবে নিজেদের পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এক সময়ের যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই দেশ এখন অনেকের কাছেই রোল মডেল।
বিশ্ববাণিজ্যে ভিয়েতনামকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী হিসেবে দেখা হলেও বিভিন্ন সূচকেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি। জনসংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক হলেও রফতানির আয় বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ছুটছেন সেখানে বিনিয়োগ করতে। দিন দিন ভিয়েতনামের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের তফাতও বাড়ছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ডলারের পণ্য। বিপরীতে আমদানি করেছে ৪১ কোটি ডলারের পণ্য। অথচ, একসময় সেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ আমদানির চেয়ে বেশি ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন