শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

মহানবীর সা. ধারাবাহিক জীবনী

| প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


আমর ইবনে সালেম বললেন, ‘হে পরওয়ারদিগার, আমি মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তাঁর চুক্তি এবং তাঁর পিতার প্রাচীণ অঙ্গীকারের দোহাই দিচ্ছি। হে রাসূল, আপনারা ছিলেন সন্তান আর আমরা ছিলাম জন্মদানকারী। এরপর আমরা আনুগত্য গ্রহণ করেছি এবং কখনো অবাধ্যতা প্রদর্শন করিনি। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হেদায়াত দান করুন। আপনি সর্বত্মক সাহায্য করুন। আল্লাহর বান্দাদের ডাকুন, তারা সাহায্যের জন্যে আসবে।
আর রাহীতুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
প্রশ্ন: মহিলাগণ এই তাকবীর কিভাবে পড়বে?
উ: ফরয নামাযের পর নীচু স্বরে পড়বে।
প্রশ্ন: আয়্যামে তাশরীকের (নবম-ত্রয়োদশতম) সময় অন্য সময়ের ফরয নামায অথবা আয়্যামে তাশরীকের ফরয নামায অন্য সময় পড়লে তাকবীর দিতে হবে কী?
উ: না দিতে হবে না।
প্রশ্ন: মুসাফির কাকে বলে?
উঃ শরীয়তের পরিভাষায় মুসাফির ওই ব্যক্তিকে বলা হয় যে ব্যক্তি বর্তমান হিসাবে অন্তত ৪৮ মাইল বা ৭৭ কিলোমিটার দূর যাওয়ার ইচ্ছায় নিজের গ্রাম/শহর ছেড়ে রওয়ানা হয়েছে। তার জন্যে নামায রোজার আহকামে কিছুটা রদবদল হবে।
প্রশ্ন: মুসাফিরের জন্যে কোন কোন আহকাম পরিবর্তন হয়?
উঃ ১. চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামায দুই রাকাত পড়তে হবে। এবং সুন্নত নামাযের হুকুম শিথিল হয়ে যাবে। তবে পড়লে পূর্ণভাবেই পড়তে হবে।
২. রোজা না রেখে পরবর্তীতে আদায় করা যাবে।
৩. মোজার ওপর মাসেহ করার মেয়াদ একদিনের স্থলে তিনদিন হবে।
৪. জুমআ, ঈদের নামায এবং কোরবানী ওয়াজিব থাকবে না ইত্যাদি
প্রশ্ন: মুসাফিরের ওপর রুখসত (শিথিলতা) এর হুকুম কখন থেকে কখন পর্যন্ত কার্যকর থাকে?
উঃ মুসাফির নিজ এলাকার সীমা ছেড়ে আসার পর থেকে নিয়ে পুনরায় নিজ এলাকায় ফিরে আসা পর্যন্ত তার হুজুম কার্যকর থাকে।
প্রশ্ন: নিজ অবস্থানকে ফিকহের ভাষায় ওয়াতন বলে। এই ওয়াতন কয় প্রকার?
উঃ দুই প্রকার: ১. ওয়াতনে আসলী এবং ২. ওয়াতনে ইকামত। ওয়াতনে আসলী বলে যেখানে লোকটি পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে। ওয়াতনে ইকামত বলে যেখানে অন্তত ১৫ দিন বসবাস করার নিয়তে কোনো লোক অবস্থান করে। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন