স্টাফ রিপোর্টার : বিষমুক্ত নিরাপদ মৌসুমি ফল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবার) করতে হবে। খাদ্যের মতো এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে সরকারকে অনেক বেশি তৎপর হতে হবে। তাদের মতে, ফলমূল, খাদ্যে বিষ ও ভেজালের মিশ্রণের কারণে জনস্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে করে মানুষ দীর্ঘমেয়াদি নানা রকম রোগে বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, এ্যাজমা, গ্যাস্ট্রিক, লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্যান্সারসহ নানা রকম ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় পবা কার্যালয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবার উদ্যোগে ‘মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিষ, বিপন্ন মানুষ-বিপন্ন প্রকৃতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, মধুমাসের নিরাপদ মৌসুমি ফলের প্রাপ্তি নিয়ে জনমনে শংকা কাটছে না। কারণ বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি মৌসুমি ফলের উৎপাদনে ব্যাপকভাবে বিষের ব্যবহার করা হয়। ফলের উৎপাদনে বিষের ব্যবহারে জীবন ও প্রকৃতি বিপন্ন হবার আশংকা থাকে। খাদ্যের মতো এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে সরকারকে অনেক বেশি তৎপর হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: লেলিন চৌধুরী। এ সময় মৌসুমি ফলের খামারিগণের উপর পরিচালিত পবার একটি জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. খালেকুজ্জামান আকন্দ চৌধুরী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. ফরমুজুল হক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, আবুল হাসনাত, লাভলী চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় কতগুলো সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি উৎপাদন থেকে যোগানের প্রতিটি ধাপে পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। খাদ্যে ক্ষতিকর সকল ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৫ দ্রæত বাস্তবায়ন করা। প্রতি জেলায় খাদ্য আদালত স্থাপন এবং জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাদ্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা। প্রতিটি জেলায় কৃষি আদালত গঠন করা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন