হাসানুল হক ইনু বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার (এসআরএইচআর) বিষয়ে কথা বলা স্কুল ও পরিবারে প্রায় নিষিদ্ধ বলা যায়। স্কুলের পাঠ্যবইয়েও সযতনে এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার কারণ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার; মানবাধিকারের বিষয়। ২০২০-২০৩০-এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় এসআরএইচআর বিষয়টি সরাসরি যুক্ত। সমাজে ও অর্থনীতিতেও এর প্রভাব রয়েছে। তাই এসআরএইচআর বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা পরিবার-পরিকল্পনা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য-এর বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারবো।
এসআরএইচআর বিষয়ে জ্ঞান বাড়াতে এবং এ বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটাতে শেয়ার-নেট বাংলাদেশ গতকাল এক আন্তর্জাতিক নলেজ ফেয়ারের আয়োজন করেছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস্ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়েরুন স্তেইখস্। বক্তব্য রাখেন-জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি-এর ডীন ও প্রফেসর সাবিনা ফাইজ রশিদ এবং রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস্-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্নব চক্রবর্তী।
সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে সঠিক তথ্য যৌন হয়রানি এবং জেন্ডার বৈষম্য কমাতে সাহায্য করবে। আমরা ইমামদের যুক্ত করেছি যাতে তা এ বিষয়ে কথা বলেন। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে জানাতে ধর্মীয় সহযোগিতার দরকার তাহলে মানুষ এই বিষয়টিকে গোপনীয় বা লজ্জার বলে মনে করবেন না কারণ সুস্থ জীবনের জন্য এ বিষয়ে জানা দরকার। তবে এ বিষয়ে পুরুষদের একতা দরকার। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে তাদের জ্ঞান বাড়াতে হবে তা না হলে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করা কঠিন হবে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে কিশোর-কিশোরীদের এ বিষয়ে জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, শেয়ার-নেট বাংলাদেশ; যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ক একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম যার লক্ষ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এসআরএইচআর ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণে ও সক্রিয় কার্যক্রম গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা। এ বছর নলেজ ফেয়ারের তৃতীয় আয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন