দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানসিক চাপ এড়াতে বেছে নিতে পারেন আখরোট। গবেষণা বলছে, দুঃচিন্তা কমাতে শরীরকে সাহায্য করে আখরোট। এতে থাকে ‘পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’ যা দুচিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। আরও দেখা যায়, ‘অ্যাভারেজ ডায়াস্টলিক বøাড প্রেশার’ ( নিচের নম্বর) কমাতে আখরোট অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি এতে থাকে আঁশ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আনসাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এক কাপের এক-চতুর্থাংশ আখরোট শরীরের দৈনিক ওমেগা-থ্রি ফ্যাটের চাহিদার ৯০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। পুষ্টিবিদদের মতে, একমুঠো আখরোট ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা কমায়। এই হরমোন যা মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত, বিশেষ করে যাঁদের অতিরিক্ত দুচিন্তার সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় আখরোট।
প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক আখরোট। পাশাপাশি স্তনে টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে। খাদ্যাভ্যাসে আখরোট থাকলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার উন্নয়নে অবদান রয়েছে আখরোটের। প্রতি এক কাপের এক-চতুর্থাংশ আখরোট শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং দেহের আদর্শ ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি ও মেধা বাড়াতে ভূমিকা রয়েছে আখরোটের, বিশেষত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে। এতে থাকে প্রচুর ‘ পলিফেনল’ উপাদান যা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মাত্র ছয়টি আখরোট থেকেই মিলবে এই উপকারিতা। উর্বরতা বাড়াতে আখরোটের উপকারিতা অনেকের অজানা। প্রতিদিন প্রায় ৭৫ গ্রাম আখরোট গ্রহন শুক্রাণুর গুণগত মান বাড়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে আখরোট। আখরোটে থাকা ‘আলফালিনোলেনিক অ্যাসিড’ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, উজ্জ্বলতা ভিটামিন ‘বি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর আখরোট ত্বক ঝুলে পড়া ও বয়সের ছাপ পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। বাড়তি পুষ্টি গ্রহণের একটি সুস্বাদু উপায় আখরোট।
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন