পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং দীর্ঘমেযাদী স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে সরকার বিদ্যমান মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলির মেয়াদ পরবর্তী আরো ১০ বছরবৃদ্ধির অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে বিদ্যমান মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর পরবর্তী মেয়াদ বৃদ্ধিরপক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও। এক বিনিয়োগকারী মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০১০ সালে ব্যাংক খাতে যে শেয়ারগুলো ১০০ টাকার উপরে কিনেছি তার দাম আট বছর পরে এখনো ২০ টাকায় উঠেনি, কবে উঠবে তাও জানিনা। সেই তুলনায় মিউচ্যুয়ালফান্ডে এমন কি ক্ষতি হয়েছে? বরং প্রতি বছর ব্যাংক সুদের তুলনায় বেশী ডিভিডেন্ড পাই। তবে এটাও বুঝি যে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতিদিন বেচাকেনা করে লাভ হয়না।
এর আগে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন বাজার ভারসাম্য এবং তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষার্থে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি দেয়। সংগঠনটির সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, আমরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বিদ্যমান মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণাকে জোরালো সমর্থন জানাই। এটা না হলে শুধু আমাদের মিউচ্যুয়ালফান্ড খাতের বিনিয়োগই নয় পুঁজিবাজারের অন্যান্য খাতের বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মো. লিয়াকত হোসেন জানান, সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা আবারো সঠিক বিনিয়োগের সুযোগ পেলাম।
ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো হলো পুঁজিবাজারের প্রাণ। এ সিদ্ধান্ত সার্বিক বাজারচিত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মো. হেলালউদ্দিন বলেন, এটা পুঁজিবাজারের ভারসাম্য রক্ষায় আবারো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জনতা ক্যাপিটাল এন্ডইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীনা আহসান বলেছেন, বাজার আরো স্থিতিশীল হবে। উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বর্তমানে প্রায় ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন