চট্টগ্রাম ব্যুরো : লাগাতার নৌযান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের একাংশের স্বাভাবিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বিরাজ করে অচলাবস্থা। গতকাল (শনিবার) বহির্নোঙ্গরে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রী নিয়ে অলস বসে থাকে ৫১টি দেশি-বিদেশি বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল)। এসব জাহাজ অলস ভাসছে শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যশস্য ও নিত্য, ভোগ্যপণ্য নিয়ে। মাদার ভেসেলে বাহিত পণ্যসামগ্রীর লাইটারেজ খালাস কাজ বন্ধ রয়েছে। এর সাথে সাগরে মাছ শিকারি জাহাজবহরও অলস অবস্থায় নোঙ্গর করে আছে।
বন্দর-শিপিং সূত্র জানায়, গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি-বার্থসমূহে ১৫টি জাহাজে পণ্যসামগ্রী ওঠানামার কাজকর্ম চলেছে। তবে বহির্নোঙ্গরে পণ্যবাহী ৫১টি জাহাজের পণ্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে অবিরাম নৌযান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্দরের বহির্নোঙ্গর ত্যাগ করতে না পারায় অতিরিক্ত মাসুল বা ডেমারেজ গুনতে বাধ্য হচ্ছেন জাহাজ মালিকরা। চট্টগ্রাম বন্দর তথা বহির্নোঙ্গর থেকে পরবর্তী বন্দরের গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারলেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে চট্টগ্রামে অলস আটকে থাকা জাহাজবহর। এসব জাহাজে গম, চিনি, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিংকার, কয়লা ও ইউরিয়া সার বোঝাই রয়েছে। শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, পণ্যসামগ্রী নিয়ে অলস বসে থাকার কারণে জাহাজসমূহকে অতিরিক্ত ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে।
এদিকে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৩৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাট। বুধবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশের মতো কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটেও পণ্যসামগ্রী খালাস বন্ধ থাকে। বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে খোলা সাধারণ পণ্যসামগ্রী (ব্রেক বাল্ক কার্গো) বোঝাই করে আসা লাইটারেজ, কার্গো জাহাজ থেকে কর্ণফুলীর ঘাটগুলোতে কোন পণ্য ওঠানামা করছে না। বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন নৌযান শ্রমিকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন