৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া নাবালিকা জেমির বাল্যবিয়ে ভন্ডুলের ৫ দিনের মাথায় এবার ভেস্তে গেল আরেক নাবালিকা সুমি আক্তারের বিয়ে। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভোমরাদহ গ্রামের বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভিন রিপা এ বিয়ে ভেঙে দেন।
জানা যায়, উপজেলার ১ নং ভোমরাদহ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম তার ১০ম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা মোছা. সুমি আক্তার (১৫) এর বিবাহ ঠিক করেন কুশারীগাঁওয়ের জনৈক ফরিদ উদ্দিনের পুত্র জাহিরুল ইসলামের সাথে। বাল্যবিয়ের বিষয়টি স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভিন রিপার নজরে এলে তিনি বিকেল ৫টয় বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ টালবাহানার আশ্রয় নিলে মানবাধিকার কর্মী রিপা ঘটনাটি স্থানীয় ঊপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তিনি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান হিটলার হক কে বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান মেম্বারের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় সুমি বেশ খুশি। পড়াশুনা করে সে নিজের পায়ে দাড়াতে চায়। সূত্র জানায় আড়াই লক্ষ টাকা যৌতুকের চুক্তিতে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোরানা ধায্যে এই বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন