ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ঘাগট, ধলেশ্বরী ও আত্রাই নদ-নদীসমূহের পানি গতকাল (মঙ্গলবার) আরো কিছুটা বৃদ্ধি পায়। আবার কোথাও কোথাও পানি স্থিতিশীল রয়েছে। কোথাও ধীরে ধীরে কমতির দিকে। এর ফলে নদ-নদীপাড়ের চারটি জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে অকাল বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব জেলা হচ্ছে জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে বলেছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং তা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
যমুনা, ধলেশ্বরী এবং আত্রাই নদী ৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা সিরাজগঞ্জ ও কাজীপুরে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। দেশের নদ-নদীর ৯৪টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৩৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৮টিতে হ্রাস পায়। গত সোমবার ৪১টি, রোববার ৪৮টি, গত শনিবার ৪৭টি, শুক্রবার ৫৯টি, বৃহস্পতিবার ৭৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পায়।
গতকাল যমুনা নদ সারিয়াকান্দি, ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ থেকে ১৬ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মধ্যাঞ্চল টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার ২৫ সেমি উপরে বয়ে যাচ্ছে। বাঘাবাড়ীতে আত্রাই নদী বিপদসীমার ৮ সেমি উপরে প্রবাহিত হয়।
অন্যদিকে উজানে গঙ্গায় পানি হ্রাসের ফলে পদ্মায় পানির সমতল কোথাও প্রায় স্থিতিশীল কোথাও ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। তবে পদ্মায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন