আফগানিস্তানের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর কাবুলে একটি বড় আকারের কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাটো। এ জন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
ন্যাটোর প্রকিউরমেন্ট দলিলের বরাত দিয়ে স্ট্রারস এন্ড স্ট্রাইপস সোমবার জানায়, এই কমপ্লেক্সে ৮০০’র বেশি ওয়ার্ক স্পেস থাকবে। এটি হবে ১২০,০০০ বর্গফুট আয়তনের তিন তলা পাকা দালান। তবে প্রকল্পটি দরপত্র ও ডিজাইনিংয়ের পর্যায়ে থাকায় আর কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
চলতি গ্রীষ্মে, কাবুলের ন্যাটো হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং জোনে একটি স্থায়ী প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। এয়ার ট্রাফিক বৃদ্ধি এবং নগরীতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ন্যাটোর তরফ থেকে জানানো হয়।
গত জুলাইয়ে এক বিবৃতিতে ন্যাটোর সাপোর্ট এন্ড প্রকিউরমেন্ট এজেন্সি জানায়, ‘রেজুলেট সাপোর্ট সদর দফতরে হেলিকপ্টার ফ্লাইট সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। আগের সাময়িক ব্যবস্থায় কাজ হচ্ছিল না।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাবুলে সড়ক পথে কোয়ালিশন সেনা ও অফিসারদের চলাচল ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ন্যাটো দফতরে যাতায়াতের প্রধান অবলম্বন হয়ে পড়ে হেলিকপ্টার। ন্যাটো দফতরের পাশেই মার্কিন দূতাবাসে যেসব বেসামরিক কর্মচারি কাজ করেন তাদেরও কাবুল বিমানবন্দরে হেলিকপ্টার ছাড়া যাতায়াত নিষেধ।
আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক রাজনৈতিক গোলযোগ চলছেন। দেশটির পুরো ভূখণ্ডের উপর কাবুল সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র নাইন-ইলেভেন হামলার জের ধরে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওই মিশন শেষ করার ঘোষণা দেয়া হলেও ২০১৫ সালে নতুন মিশন শুরু করে ন্যাটো, যা রেজুলেট সাপোর্ট নামে পারিচিত। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সরকারকে নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শ দেয়া এর মূল লক্ষ্য হিসেবে জানানো হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অন্তহীন অভিযানও অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং তা আফগানিস্তানে শান্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্রঃ এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন