বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অবাধে বিক্রি হচ্ছে পিরানহা

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকারীভারে নিষিদ্ধ মাছ“পিরানহা”। হাট-বাজারসমূহে হাটবার এমন কি কোন কোন বাজারে প্রতি দিনই নিষিদ্ধ পিরানহা মাছগুলোকে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করা হলেও স্থানীয় মৎস্য বিভাগের নেই কোন মাথা ব্যাথা। সরকার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পিরানহা মাছকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও সরকারের মৎস্য বিভাগের উদাসীনতা অথবা দায়ীত্বে অবহেলা নয়তো নগত নারায়নের বিনিময়ে অবাধে চলছে পিরানহা মাছের চাষও বিক্রি। জানা যায়. পিরানহা মাছ খুবই রাক্ষুসে মাছ। তাই যেখানে এই মাছের চাষ করা হয় সেখানে অন্য কোন মাছের চাষও করা যায় না। অথচ নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও এক শ্রেনীর মাছ ব্যবসায়ী স্থানীয় মৎস্য বিভাগের কোন প্রকার তদারকী না থাকার সুযোগে বরং বলতে গেলে তাদের ছত্রছায়ায়ই এ সব নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ কে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার রূপচাঁদা বলে বিক্রি করা এ সব পিরানহা মাছের দাম অন্য মাছের চেয়ে তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা দেদার কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ক’জন পিরানহা মাছ বিক্রেতার সাথে আলাপকালে তারা বলেন- মাছ খেয়ে ক্ষতি, না লাভ হয়, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। যে মাছ বিক্রিতে বেশী লাভ, আমরাতো সেই মাছই বিক্রি করবো। তা ছাড়া এই মাছ যে নিষিদ্ধ তাতো মৎস্য বিভাগ থেকেও কোন দিন বলছে না। তবে আমরা বুঝবোই বা কেমন করে ? এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসারের সাথে য়োগাযোগের চেষ্টা করে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। জানানো হয়, তিনি জেলা শহর শেরপুর থেকে অফিস করেন, এখনো অফিসে এসে পৌছেননি। পর্যবেক্ষকমহলের মতে. সরকারীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছকে কেউ যাতে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করতে না পারে, সে ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। নচেৎ সাধারণ মানুষ শুধু প্রতারিতই হবে না, আক্রান্ত হবে বিভিন্ন দূরারোগ্য ব্যাধিতে এবং অন্যান্য মাছের চাষও কমে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহল মণে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন