বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

কোমল পানীয় জনপ্রিয় করতে কর কমানোর দাবি

প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আমদানি পর্যায়ে সিরামিক পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। অপরদিকে কমল পানীয়র দর কমাতে নির্ধারিত যাবতীয় কর থেকে ১০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে বেভারেজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনগুলোর নেতারা এসব দাবি জানান।
বিএমএ সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কোমল পানীয় উৎপাদনে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু উচ্চ শুল্ক, ভ্যাট, আয়করের কারণে এ খাত বিকশিত হচ্ছে না। দেশের মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে বর্তমান বাজারের কোমল পানীয়।
তিনি বলেন, কোমল পানীয়তে মোট ৪৩ শতাংশ কর আরোপ করা আছে। কমিয়ে ৩৩ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। হারুনুর রশিদ দাবি করেন, ১০ শতাংশ কর কমানো হলে কোমল পানীয়ের দর অনেকটা কমানো যাবে। ফলে সাধারণ গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে। এতে করে কোমল পানীয়ের গ্রাহকসংখ্যা বাড়বে, বাড়বে রাজস্ব আয়ও।
এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের শহরের নাগরিকরা প্রতিবছর ১২ লিটার কোমল পানীয় পান করে। আর শহর-গ্রাম দুটো মিলিয়ে গড়ে একজন মানুষ বছরে মাত্র ৩ দশমিক ৬ লিটার কোমল পানীয় পান করে। যা পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় অনেক কম। কোমলপানীয় পণ্যের এই দুরবস্থার জন্য উচ্চশুল্ক ও দর বৃদ্ধিই দায়ী।
সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এ সিরামিক টাইলসের ওপর আমদানি ও দেশীয় পণ্যে সমান হারে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে দেশে উৎপাদিত পণ্যে ১৫ থেকে ৪৫ শতাংশ এবং আমদানি পণ্যে ৬০ থেকে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক হবে। এতে করে একদিকে আমদানিকারকরা ৯ শতাংশ শুল্ক হ্রাসের সুবিধা পাবে। অপরদিকে আমদানি পণ্যের চেয়ে দেশীয় পণ্যের মূল্য ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তাই আমদানি পর্যায়ে সিরামিক পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার প্রস্তাব করছি। তিনি আরও বলেন, সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রাংশের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সমুদয় সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি মওকুফ করার প্রস্তাব করছি। প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন