পিপিপি, পিএমএল-এন সদস্যদের ডাকাত ও চোর বলার পরে মাফ চাইলেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদে ডাকাত ও চোর বলার প্রতিবাদে ওই দুটি দলের সদস্যরা অধিবেশন বর্জন করে ওয়াকআউট করেন। তারা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, তিনি আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন। এরপর মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ক্ষমা চাইতে রাজি হওয়ার পর তারা ফিরে আসেন অধিবেশনে।
সূত্র জানায়, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ করেন যে, বিরোধী দলের সানেক নেতা সৈয়দ খুরশিদ শাহ মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে ৮০০ মানুষকে নিয়োগ দিয়েছেন মাত্র তিন দিনে। এ জন্য ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বক্তব্য শুরু করেন পিপিপির সদস্য ড. নাফিসা শাহ।
ফাওয়াদ চৌধুরীর একটি টুইট পড়ে শোনান তিনি এবং সিম্পকার আসাদ কাইসারকে অনুরোধ করেন তা প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠাতে। এ সময় খুরশিদ শাহ বলেন, এ বিষয়টি কমিটিতে পাঠানো উচিত এবং অভিযোগ প্রমাণ করতে বলা উচিত মন্ত্রীকে। ইসলামাবাদে অবস্থিত রেডিও পাকিস্তান লিজ দেয়ার একটি প্রস্তাব প্রত্যাহার হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে নাফিসা শাহ একটি টুইট করেছেন। তার জবাব দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার পিপিপি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায়, দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, নিজেদের দুর্বৃত্তদের দিয়ে পদ পূরণ করে পিবিসি সহ সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে পিপিপি। মাত্র তিন দিনের মধ্যে শুধু রেডিওতে ৮০০ মানুষকে নিয়োগ দিয়েছেন খুরশিদ শাহ। এতে রাষ্ট্রের জন্য ৭ কোটি রুপির বোঝা বাড়ে। এতে শুধু রেডিও খাতে প্রতি বছরে সরকারকে লোকসান দিতে হচ্ছে ৫০০ কোটি রুপি। ধন্যবাদ পিপিপির অদূরদর্শিতাকে। এ সময় তীব্র সমালোচনা শুরু করেন পিপিপির সদস্যরা। তার মধ্যেও ফাওয়াদ চৌধুরী তার বক্তব্যের পক্ষেই শুধু সাফাই গান নি একই সঙ্গে তিনি সানেক সরকারের সদস্যদেরকে চোর ও ডাকাত বলে অভিহিত করেন। এর প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলো অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন