২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার একচেটিয়া দখল নিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির তথাকথিত আইটি সেলের দাপটের ধারে কাছেও ছিল না কংগ্রেসের মিডিয়া সেল। নরেন্দ্র মোদির আকাশছোঁয়া সাফল্যের পিছনে অনেকটা দায়ী ছিল এই ‘সোশ্যাল ওয়ারে’ জয়ও। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন বিজেপির অমিত মালব্যদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া। তাই ভার্চুয়াল দুনিয়ার লড়াইয়ে আবার কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।
এবার আর ফেসবুক নয়। এবার প্রত্যেক ভোটারের ইনবক্সে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। ভোটের প্রচার চালানো হবে হোয়াটসঅ্যাপে। হোয়াটসঅ্যআপের মাধ্যমে প্রচার চালানোর জন্য মোট ৯ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে গেরুয়া শিবির। দেশের প্রতিটি বুথ পিছু একজন করে ‘সেল ফোন অফিসার’ নিয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। প্রতিটি বুথে লোক দেওয়া সম্ভব না হলে অন্তত গ্রাম পিছু একজন করে নিয়োগ করা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। ভারতের মোট বুথের সংখ্যা ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৩৩ টি। তাই বিজেপির আশা ৯ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হলেই প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
এই সেল ফোন অফিসারদের কাজ হবে, প্রচারের জন্য ছবি, ভিডিও, স্লোগান, কবিতা, গ্রাফিক্স শেয়ার করতে হবে। প্রত্যেক সেল ফোন অফিসারদের মোবাইলও দেবে বিজেপিই। এদের প্রত্যেককে ৩ টি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করতে হবে। প্রতিটি গ্রুপে সর্বোচ্চ ২৫৬ জন করে সদস্য অ্যাড করতে হবে(হোয়াটসঅ্যাপে ২৫৬ জনের বেশি এক গ্রুপে অ্যাড করা যায় না)।
বিজেপির আইটি সেলের এক নেতা বলছেন, “আমাদের বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে হোয়াটসঅ্যাপের লড়াইয়ে যারা জিতবেন তারাই সফল হবেন। আমরা তার জন্যেই প্রস্তুত হচ্ছি। আগামী জানুয়ারি থেকেই আমাদের নতুন অভিযান শুরু হয়ে যাবে।ভারতের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ ফোন ব্যবহার করেন, এদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায় ২০ কোটি মানুষ।”
জানা গেছে, সপ্তাহ তিনেক আগে বিজেপি সদর দপ্তরের এক বৈঠকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই সমস্ত রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুথে বুথে সেল ফোন অফিসারদের তালিকা তৈরি করে ফেলতে। শুধু তাই নয়, বুথে বুথে মোট কতজন ভোটার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন তারও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রঃ এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন