সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা এসেছে, তবে কাঙ্খিত সফলতা আসেনি। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের মাঝে আইন না মানার মানসিকতা। মানুষকে জোর করেও আইন মানতে বাধ্য করা যাচ্ছে না। বিদেশে যখন যাই, আমরা আইন মানি। তাহলে ঢাকার সড়কে বেরিয়ে কেন আমরা আইন মানি না? গতকাল রোববার রাজধানীর সার্ক ফোয়ারা মোড়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, চলমান ট্রাফিক সচেতনতা মাসে অভিযান চালিয়ে ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে পর্যাপ্ত গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে, রেকারিং করা হয়েছে ও মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশুদের একটি আন্দোলন হয়েছিল। সে আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত ট্্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করেছিলাম। ১০ দিন একটানা ট্্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি। ঈদের পর মাসব্যাপী ট্্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের সঙ্গে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইডসহ বিভিন্ন সংগঠন কাজ করেছেন। আমাদের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাসগুলো যাতে সুশৃঙ্খলভাবে যায়, যত্রতত্র না দাঁড়ায়, বাস চলার সময় দরজাগুলো বন্ধ থাকে সেটার ব্যাপারে আমরা সকলকে অনুরোধ করেছিলাম, নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেটার বিষয়ে কিছু উন্নতি হয়নি। এ ছাড়া হাইড্রোলিক হর্ন, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, গাড়িতে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করাসহ নানাবিধ ট্রাফিক আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
চালকদের নিয়ে অনেকবার সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুঃখজনক কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাপক উন্নতি হয়নি। এখনো যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী নেয়ার প্রবণতা রয়ে গেছে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন