শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বড় লেনদেনে সতর্কতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বড় বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে গভীর তদারকির পাশাপাশি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের সুপারিশ করেছে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)। একই সঙ্গে সংস্থাটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশকে আরো কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ওপর এপিজির তৈরি করা দ্বিতীয় ফলোআপ প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে ওই প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্নীতি, চোরাচালান, প্রতারণা, সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। এগুলো শুধু বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয় বরং সারা বিশ্বের জন্য হুমকি। তাই এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় তদারকি ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোর বিদেশি শাখা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি আরো বাড়াতে সুপারিশ করেছে তারা। আর দেশের শেয়ারবাজার ও সরকারি ব্যাংকগুলোকে বেশি সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। নিরাপত্তার কারণে দেশের বিভিন্ন বন্দরসহ যেসব খাতে বড় বড় লেনদেন বা পণ্যের আদান-প্রদান হয় যেসব জায়গার অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ এপিজির অনেকগুলো শর্ত পূরণ করেছে, উল্লেখ করে সূত্র জানায়, এপিজির মূল্যায়নে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। ফলে আগামী ৫/৭ বছর দেশটির কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে এপিজির সুপারিশ অনুযায়ী অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সুপারভিশনের দুর্বলতা কাটানো গেলে পরিস্থিতি আরো উন্নতি হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোর বিদেশি শাখা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশি এসব কোনো প্রতিষ্ঠানের শাখা নেই। শুধু ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের শাখা আছে। সেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত তদারকি করে। ফলে এ সুপারিশ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য নয়। তাদের অন্যান্য সুপারিশগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চোরাচালানের বিষয়ে এপিজি বরারবই আপত্তি তুলে থাকে। এটি এক দেশের ব্যাপর নয়। এর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশও জড়িত। ফলে এ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সংস্থাটি মনে করে, চোরাচালানের মাধ্যমে যেসব পণ্য ও এর আড়ালে অর্থ লেনদেন হয় সেগুলোর একটি অংশ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহার করার আশঙ্কা সব সময় থেকে যায়। ফলে এসব বিষয়েও সতর্ক হতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন