শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মোদির নেতৃত্বে ভারত সাম্প্রদায়িকতার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে : কানহাইয়া

প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:২৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কানাইয়া কুমার পুনেতে এক ছাত্র সমাবেশে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতকে সাম্প্রদায়িকতার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন চলবে। কানহাইয়া বলেন, মোদি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস তার শক্তি। এই দুই অপশক্তি মিলে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার ভাগারে পরিণত করেছে। সরকার দলিত-বিরোধী নীতি গ্রহণ করেছে। সমাবেশে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সামাজিক সমতার দাবিতে ও বর্ণবৈষম্য নির্মূলের বিরুদ্ধে আমরা যখন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনাদের এতা ভয় কেন?
যাত্রাপথে তার ওপর হামলা হতে পারে, এমন খবরের ভিত্তিতে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তিনি পুনে পৌঁছেন। সমাবেশে ইওগা গুরু রামদেবের মন্তব্যের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিন্তে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে চাই, কিন্তু কে এর ওপর একচেটিয়া অধিকার দিয়েছে?
কানহাইয়া বলেন, এ সরকার দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে পারেনি। তারা দেশের পতাকা পাল্টে ফেলতে চায়। তারা এক ধর্ম, এক সংস্কৃতি চালু করতে চায়। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদকে ব্রহ্মবাদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে, যা দেশের জন্য খুব ভয়াবহ অশনি সংকেত।
এই বাম ছাত্রনেতা আরও বলেন, দেশের সচেতন ছাত্র সমাজ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। মোদির সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমরা শুধু আমাদের অধিকার দাবি করছি। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হোক। তখন আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কথা বলবো। সরকার আমাদের দেশবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নরেন্দ্র মোদিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি গত শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কথিত সরকারবিরোধী সেøাগানের ঘটনার পর সরকারি ধরপাকড়ের ঘটনায় মৌলিক মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। সরকার এ জায়গাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কানহাইয়া বলেন, আমি নেতা নই, সাধারণ একজন ছাত্র। গত কিছুদিনে আমি একেবারে বোকা বনে গেছি। ছাত্ররা যে আমার ওপর এত ভরসা করেছে, সে জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আর যাই হোক, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দেশদ্রোহী নয়। সরকার যদি ফেলোশিপ বন্ধ করে দেয়, সেটা ফের চালু করার লড়াই আমরা শুরু করবো। দেশদ্রোহের অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে তার পাশে দাঁড়াবে সমগ্র ছাত্রসমাজ। হিন্দুস্তান টাইমস, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন