গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভবিষ্যতে একটা নোবেল পুরস্কার পাবেন। গতকাল সন্ধ্যায় যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নোবেল পুরস্কার পাননি কিন্তু সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাবেন। সুষ্ঠু গণতন্ত্র না হলে বাংলাদেশে সিরিয়া, ইয়েমেনের মতো অবস্থার সৃষ্টি হবে। তখন এই দায়-দায়িত্বটা সরকারের ওপর বর্তাবে।পক্ষান্তরে এটা তার গায়েও পড়বে। যদিও তিনি এটার জন্য দায়ী নন। তার মনোভাব হলো, তিনি আসলেই দেশের মঙ্গল চাইছেন। আর দেশের মঙ্গলের একমাত্র পদ্ধতি সুষ্ঠু নির্বাচন। সে জন্য মানুষকে কথা বলতে দেন, সমালোচনা করতে দেন। আর সমালোচনা মানেই তার বিরোধিতা নয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এসব কার্যকলাপকে সব সময় আমি সাধুবাদ জানাই। তার প্রতিটি পদক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য শুভ পদক্ষেপ। তার কথাগুলো এখন কাজে পরিণত করার বাকি আছে। আমরা বাংলাদেশে শান্তি সমৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চাই। এক্ষেত্রে তার একটা সহায়ক ভূমিকা আছে। এখন কাজ হলো কেউ তার কাছে মিটিং করতে অনুমতি চাইলে তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হোক।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে মিটিং করার অনুমতি চেয়েছি, কিন্তু অনুমতি পাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি অনুগ্রহ করে আমাদের আগামী ১৫ দিনে ৫টি মিটিং করার জন্য সুবিধা করে দিন। আমরা আপনার ভালো জিনিসটার পাশাপাশি আপনার কোথায় কোথায় সংশোধন হওয়া দরকার সেটাও উল্লেখ করতে চাই। তিনি বলেন, এইচ টি ইমাম সাহেবের কথা অনুসারে, দেশের অর্ধেক লোকও আওয়ামী লীগের ভক্ত হয়নি। মাত্র ৪২ শতাংশ আপনাদের উন্নয়নে মোহিত হয়েছে। তার মানে এখনো ৫৮ শতাংশ আওয়ামী লীগের মতবাদের বাইরে আছেন। ৩০ শতাংশ বিএনপিতে আর বাকিরা নিরপেক্ষ। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর ভালো কাজগুলোকে প্রকাশ করার দরকার আছে। যাতে এই বাকি ৩০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ তার দিকে আসে। আমরা তার (প্রধানমন্ত্রীর) ভালো কাজগুলোকে প্রকাশ করতে পারি এবং তার ভুল কাজগুলো নিয়ে সমালোচনা করতে পারি। সমালোচনা মানেই তার বিরোধিতা করা নয়। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন