পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের খড়গ থেকে মুক্তি পেল সাবিনা (১৪) নামের এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত বুধবার সকালে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে দুলাল চৌকিদার তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিল। বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয় স্বজনরাসহ পাড়া প্রতিবেশী উপস্থিত হয়েছিল দুলাল চৌকিদারের বাড়িতে। পুরো বাড়ি জুড়েই ছিল উৎসবমূখর পরিবেশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে হঠাৎ ম্লান হয়ে যায় সকল আনন্দ।
স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে এই বাল্য বিয়ের তথ্য জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপর ওই দিন শেষ বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাসসহ দুইজন ইউপি সদস্য ও গ্রাম চৌকিদার শিক্ষার্থী সাবিনার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাস জানান, জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সাবিনার বয়স ১৪ বছর। সে নয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ১৮ বছর বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার মুচলেকা রাখা হয়েছে ওই ছাত্রীর পিতার মো. দুলাল চৌকিদার কাছে থেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন