বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নামমাত্র মজুরিতে মৃত্যুঝুঁকি

কুষ্টিয়া থেকে এস এম আলী আহসান পান্না | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কুষ্টিয়ার তামাক গোডাউন ও কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। মালিকদের উদাসীনতার কারণে জেলার দুই শতাধিক গোডাউনে কর্মরত শ্রমিকদের একটি বড় অংশ যক্ষী, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, আলসার, বার্জাসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছেন। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি তোয়াক্কা করছে না স্থানীয় প্রশাসন।

কিছুতেই ধরে রাখা যাচ্ছে না জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা। নামমাত্র মজুরিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তামাক জাতীয় কাজ করছেন অনেকেই। জেলার ছয়টি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ২০০টি তামাক গোডাউন রয়েছে। বিভিন্ন বিড়ি কারখানায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে শত শত শ্রমিক। আইন মানছে না কেউই। তাদের কারণে একদিকে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানানো হচ্ছে না। কর্মরত এসব শ্রমিকদের শরীরে কোনো না কোনো তামাক জাতীয় সমস্যা রয়েছে।

প্রতিতিটি করাখানাতেই সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে তামাক ক্রাসিং, গুল, খইনি, ভেজাপাতাসহ তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুত করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব কারখানায় শিশু, নারী-পুরুষ মিলে কর্মরত রয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিক। এদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরা কাজ করছে নামমাত্র মূল্যে।

শিল্প কারখানা আইনে ১০ জনের বেশি শ্রমিক কারখানায় কাজ করলে তিন মাস পর পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও এসব কারখানা মালিকরা তা মানছেন না। জেলা শহরের তামাক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের দেখার দায়িত্ব থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা করে না। এ ছাড়া তামাকনির্ভর শিল্পকারখানায় যে সব শ্রমিক কাজ করেন, তাদের কাজের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত আছে কিনা সেটিও কখনো পরীক্ষা করে দেখা হয়না। এ ব্যাপারে তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক জানান, কুষ্টিয়ায় তামাক কোম্পানিগুলো নিয়মনীতি মানছে না। তামাক কোম্পানিগুলোর কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

অনেকেই জানিয়েছেন, সংসারের অভাবের কারণে তাদের তামাক কারখানায় কাজ করতে হয়। এ কাজে কোনো প্রকার অসুবিধা আছে কি না তা তারা জানে না। তারা জানে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করলে ৫০ থেকে ৮০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। দরিদ্র মানুষের দারিদ্র্যতা, অসচেতন, অজ্ঞতার কারণে এ অবস্থা চলে আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন