মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলার গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রচ- দাবদাহে ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোট বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীসহ অ্যাজমা (শ্বাস জনিত কষ্ট) রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ৩ দিনে শুধু ডায়েরিয়ায় প্রায় ৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুরুষ-মহিলাসহ শিশুও রয়েছে। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রায় ৬শ’ জন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এদিকে গরমে অ্যাজমা (শ্বাস জনিত কষ্ট) ও হাঁপানী রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ জন অ্যাজমা ও হাঁপানী রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অন্যরাও বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদিকে ডায়েরিয়া রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের বাহির থেকে কলেরা স্যালাইন কিনে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে রোগীদের হাতে খাবার স্যালাইন ধরিয়ে দিয়ে কলেরা স্যালাইন বাহির থেকে কিনে আনতে ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে করে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল ওয়াদুদ “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রচ- দাবদাহে মানুষের পানির তৃষ্ণা বেশি পেয়ে থাকে। এ সময় মানুষ বাছ-বিচার না করেই হাটে-ঘাটে-মাঠে দূষিত পানি পান করে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছে। ফলে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্যালাইনের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা অনুপাতে ১ বছরের জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হয়। সেই মোতাবেক কলেরা স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধপত্র বরদ্দ পেয়ে থাকেন। প্রচ- দাবদাহের কারণে কলেরা স্যালাইনের সরবরাহের অতিক্রম করেছে। ফলে হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। একই সাথে তিনি জানান, এ সংকট সাময়িক। অচিরেই এ সংকট কেটে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন