নেত্রকোনা থেকে একেএম আব্দুল্লাহ : নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবাধে অতিথি পাখি নিধন করায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টের আশঙ্কা করছে পরিবেশবিদরা।
প্রতি বছর শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা ও খাবারের সন্ধানে সুদুর সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে শীতের অতিথি পাখি নেত্রকোনার বিভিন্ন হাওর ও মুক্তজলাশয়ে আসতে শুরু করে। বাঁলি হাঁস, ল্যান্জা হাঁস, সরালী, পানি খাওরী, হরিকল, কুদালী, চখা, পানকৌড়ি, ডাহুক, কোড়া, ঘুঘু, কানা বক, সাদা বক ও কাইমসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দার বিস্তৃর্ণ হাওর জনপদ। এই সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু পাখি শিকারীরা ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি নিধনে মেতে উঠে। শিকারীরা পাখি শিকারের পর এসব পাখি স্থানীয় হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। পাখি শিকার করা আইনতঃ নিষিদ্ধ হলেও এব্যাপারে প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।
পরিবেশবাদীরা অবাধে শীতের অতিথি পাখি শিকার ও নিধনযজ্ঞ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসককে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারে পাখি বিক্রি করতে আসা পাখি শিকারি আব্দুল কুদ্দুছ অবাধে পাখি শিকারের কথা স্বীকার করে বলেন, শীত মৌসুমে কাজের ফাঁকে তিনি অতিথি পাখি শিকার করে তা স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করে থাকেন। পাখি শিকার করা নিষেধ কিনা তা তিনি জানেন না।
পরিবেশবাদী জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাক-পাখালির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এসব পাখি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনসহ সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, যারা পাখি নিধনের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে হবে। তাহলেই অতিথি পাখি নিধন রোধ করা সম্ভব হবে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খাঁন মো; আবু নাসের বলেন, পাখি শিকার ও নিধন দÐনীয় অপরাধ। সৌখিন পাখি শিকারি ও মৌসুমী পাখি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন