দেশের প্রথম সয়েল আর্কাইভ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান প্রধান অতিথি থেকে এ আর্কাইভের উদ্বোধন করেন।
খুবির আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ২০ ফুট ভূগর্ভে স্থাপিত এ আর্কাইভ বাংলাদেশ বনবিভাগের সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কারিগরি সহায়তায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি-এর আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।
আর্কাইভ উদ্বোধনের আগে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, দেশের প্রথম এ সয়েল আর্কাইভ স্থাপন একটি সবিশেষ উদ্যোগ। এর ফলে এক জায়গা থেকেই দেশের সমগ্র অঞ্চলের মাটির প্রকারভেদ, গুণাগুণসহ নানা তথ্য-উপাত্ত জানা যাবে।
তিনি বলেন, এই আর্কাইভ বনবিভাগ, কৃষি বিভাগ, পরিবেশ বিভাগ, মৃত্তিকা সম্পদ বিভাগসহ কৃষির সব সেক্টরের জন্য গবেষণার একটি নতুন জায়গা তৈরি করবে। এর ভিত্তিতে দেশে কোন এলাকায় কী ধরনের মাটিতে কী ধরনের গাছ, ফসল ফলানো যাবে তার উপযোগিতা নির্ধারণ সহজ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষার্থীদের জন্যও এটা খুবই উপকারে আসবে।
ভিসি আরও বলেন, বেঁচে থাকার জন্য বৃক্ষরাজি গুরুত্বপূর্ণ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা জরুরি। সেক্ষেত্রে বনবিভাগ বনজরিপের যে উদ্যোগ বাস্তবায়িত করছে তা খুবই সময়োপযোগী। তিনি বনবিভাগের সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ কার্যক্রমকে স্বাগত জানান এবং এই সয়েল আর্কাইভ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক, বাংলাদেশ বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী এবং এফওএ’র আন্তর্জাতিক পরামর্শক ড. ক্রিস্টফার জনসন।
সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি (ফউটে) ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. ইনামুল কবীর। সেমিনারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্টে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন খুবির ফউটে ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এবং বিএফআই প্রকল্পের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর মো. জহির ইকবাল।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বাংলাদেশ বন বিভাগ, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এই সয়েল আর্কাইভে বাংলাদেশ ফরেস্ট ইনভেন্টরি প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৬৯৮ প্লটের ৪ হাজার ২২৫টি মাটির নমুনা সংগৃহীত রয়েছে যা মাটি নিয়ে নানামুখী গবেষণার দ্বার উন্মোচন করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন