শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনী সহিংসতা - কেন্দুয়ায় সংঘর্ষে কিশোর নিহত : বিভিন্ন স্থানে আহত অর্ধশত

প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চলমান ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় গতকাল নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশত মানুষ।
কেন্দুয়ায় সংঘর্ষে কিশোর নিহত
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : মেম্বার পদে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ইকবাল (১৫) নামক এক কিশোর নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের চন্দ্রলড়া গ্রামে।
কেন্দুয়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব জানান, গড়াডোবা ইউনিয়নে মেম্বার পদে জয় পরাজয়কে কেন্দ্র করে বিজয়ী মেম্বার সজিব খাঁ’র কর্মী সমর্থকদের সাথে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী রুকন খা’র কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিত-া ও ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রুকন খা’র ভাতিজা সুলতু খাঁর ছেলে ইকবালসহ ৩ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ইকবালকে পার্শ্ববর্তী ইশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুরে কচুয়ায় সংঘর্ষে আহত ১২
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় ১২ জন আহত হয়েছে। বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। তাদেরকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, শ্রীপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে কচুয়া গ্রামের নাজির হোসেন মেম্বর নির্বাচিত হন। এ ঘটনায় পরাজিত প্রার্থী সুমন হোসেন নাজিরের সমর্থদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। যার এক পর্যায়ে গতকাল সকালে সুমন তার সমর্থকদের নিয়ে নাজিরের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় গ্রুপের সংষর্ষে ১২ জন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের মধ্যে আক্কাস আলী (৪৫), জাকির হোসেন (২০), মামুন (২০), কনক (৫০) ও বুধই (৪৫) কে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা শ্রীপুরের দারিয়াপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে।
মাদারীপুরে গুলি বোমাবাজি আহত ১০
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : নির্বাচনী সহিংসতায় গতকাল আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ছয়না গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ৬জনকে আটক করে। আহতদের মাদারীপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. বাবুল আকতারের সাথে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলিলুর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার সকালে দু‘গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই পক্ষই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়।
মাদারীপুরের এএসপি (সার্কেল) মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।’
রায়পুরায় প্রার্থীর হাত ভেঙ্গে দিল আ’লীগ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে ঃ নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আমিনুল হক লিটন নামে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে পিটিয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকরা। তারা প্রার্থী লিটনের বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা রাতে রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়নের বেলায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয় বাজার সংলগ্ন স্থানে এই ঘটনাটি ঘটেছে। একই দিন রাত সাড়ে ৯ টায় আহত প্রার্থী লিটন তার লোকজন নিয়ে নরসিংদী প্রেস ক্লাবে গিয়ে সরাসরি এ হামলার ঘটনা বিবৃত করেন। গতকাল মঙ্গলবার এ মর্মে লিখিত অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর দাখিল করেছেন। তার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ডৌকারচর ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হবার পর থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান লোকমান মিয়া ও তার সমর্থকরা লিটনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন