শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

| প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

গত ০৯-১০-১৮ইং তারিখে দৈনিক ইনকিলাবের অভ্যন্তরীণ পাতায় ‘বেপরোয়া কাঠ পাচার, রাঙ্গুনিয়া বনাঞ্চল বৃক্ষশূন্য!’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ১১-১০-১৮ তারিখে লিখিত প্রতিবাদ দিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের পোমরা বনবিট কর্মকর্তা ফরেস্টার মোহাম্মদ ইউনুছ। এতে বলা হয়, মালিরহাটে পোমরা বিটের অধীনে কোনো বনাঞ্চল নেই। সেখানে কোনো ইটভাটা চালু নেই। ইটভাটায় গাছ পাচার ও মজুদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিটের গাছ চুরি হচ্ছে না। বনের জায়গা বেচা-কেনার অভিযোগ মনগড়া ও ভিত্তিহীন। প্রকাশিত সংবাদে বর্ণিত অভিযোগ নজরে আসার পর সাংবাদিককে চ্যালেঞ্জ করা হলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে তারা ভুল স্বীকার করেন। 

প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকৃতপক্ষে সংবাদটি শতভাগ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ। সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে সচিত্র প্রতিবেদনটি করা হয়। বন উজাড় করে কাঠ পাচারের ডকুমেন্ট এ সংবাদদাতার কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রকাশিত সংবাদের কোথাও মালিরহাট বনের উল্লেখ নেই। পোমরা বিটের বন উজাড় করে কাঠ পাচার বিষয়ে কথা বলার জন্য বিট কর্মকর্তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। সিনিয়র বিট স্টাফ মো. সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি কাঠ পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেন, যা সংবাদে রয়েছে। সংবাদটি প্রকাশের পর পোমরা বিট কর্মকর্তা কর্তৃক মিথ্যা মামলা করার ভয় দেখানো হয়।

পোমরা এলাকায় সবকটি স’মিল সম্পূর্ণ অবৈধ। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়া করাতকলে প্রতিনিয়ত শতশত ঘনফুট কাঠ ছেড়াই চলছে। মৌসুমের শুরুতে ইটভাটায় কাঠ মজুদ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইটভাটাগুলো সরেজমিন তদন্ত করলে শতভাগ সত্যতা মিলবে। উক্ত পোমরা বিট কর্মকর্তা মো. ইউনুছ দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পোমরা বনস্টেশন, পোমরা বিট ও কোদালা বিটসমূহের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই ব্যক্তির তিনটি সরকারি কার্যালয়ের দায়িত্ব পালনে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন