উত্তর : আপনি শান্তি চাইলে না জানার ভান করতেই থাকুন। যদি আপনার স্বামীর এ আসক্তি বৈধ উপায়ে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ক্ষোভ কিছু কম থাকা ভালো। দেশীয় আইনে আপনার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে আপনার স্বামীকে আপনি জেল জরিমানা করতে পারেন। এতে সংসারে সুখ ও মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় না। ব্রিটেনের এ আইনটি কেমন তাও দেখতে হবে। আমাদের দেশে অবৈধ সম্পর্ক বা পরকীয়া আইনে তেমন দোষণীয় নয়। কিন্তু স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা মারাত্মক অপরাধ। যদিও এটি স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ব্যাপার। শরিয়তে আপনার সাথে পূর্ণাঙ্গ সদাচরণ, দায়িত্বপালনসাপেক্ষে স্বামী আপনার অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে। তবে তার ওপর কঠোর নির্দেশ হলো, দু’জনের মধ্যে কাঁটায় কাঁটায় সমতা বজায় রাখা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন, ‘যদি তোমরা দু’জনের মধ্যে কাঁটায় কাঁটায় সমতা ও সুবিচার করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করো, তাহলে এক বিয়ের বেশি করো না।’ সূরা নিসা। এরপর আসুন দ্বিতীয় অবস্থায়, মানে আপনার স্বামী যদি অবৈধ আসক্তিতে পড়ে থাকেন, তা হলে এর চেয়ে মারাত্মক পাপাচার আর নেই। এটি মেনে নিয়ে সংসার করা আপনার জন্য জায়েজ। যদি আপনাকে কোনো কষ্ট না দেয়। তাহলে ‘না জানার ভান’ করাও জায়েজ। শান্তি বজায় রাখার জন্য ইগনোর করে যান। বুদ্ধিমত্তার সাথে তাকে ধীরে ধীরে এ অন্যায় থেকে ফিরিয়ে আনুন। তাকে সন্দেহ বা দুর্ব্যবহারের চেয়ে কৌশলে ফিরিয়ে আনাই অধিক কার্যকর। এসব একসময় কেটে যায়। মানুষ তার মূল সংসারেই ফিরে আসে। প্রয়োজন ধৈর্য, কৌশল, দোয়া ও পরম সহিষ্ণুতার। এখানে গুনাহ থেকে তাকে ফেরানোর মৌলিক কোনো দায়িত্ব আপনার নেই। স্বামী হিসেবে সে বরং নিজেই এ জন্য দ্বিগুণ দায় বহন করে। আপনি নিজ বিবেচনায় সব দিক সামাল দিন। তবে আপনার ‘না জানার ভান’ করছি কথাটি অনেক দামি। যদি সংসারে এভাবে মানুষ ভাবত, তা হলে ৮০ ভাগ সমস্যা মাটিচাপা পড়ে যেত। তবে এ ভান করা পৃথিবীর কঠিন কাজগুলোর একটি।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন