শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিরাপরাধ হওয়ায় উইঘুরদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে -মাহাথির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:১৮ পিএম

থাইল্যান্ডের কারাগার থেকে পালিয়ে আসা ১১ উইঘুর মুসলিম মালয়েশিয়ায় কোনো অন্যায় করেনি বলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। খবর রয়টার্স।
২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে আটক হয় ২০০ উইঘুর মুসলিম। তাদের মধ্যে শতাধিককে জোর করে ২০১৫ সালে জুলাইতে চীনে পাঠিয়ে দিলে বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে থাইল্যান্ডের কারাগারের দেয়ালে গর্ত করে কম্বলকে মই বানিয়ে পালিয়ে তাদের মধ্যে ১১ উইঘুর মুসলিম সীমান্ত অতিক্রম করে মালয়েশিয়া পৌঁছায়। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের প্রশাসন তাদের আটক করে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এসব উইঘুরকে ফিরিয়ে দিতে চীনের প্রবল চাপের মুখে রয়েছে মালয়েশিয়া। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ অবশ্য তাদের ফিরিয়ে না দিতে অনুরোধ জানিয়েছিল। তাদেরই গত সপ্তাহে মুক্তি দিয়ে তুরস্ক পাঠিয়ে দেয় মালয়েশিয়া।
আদিবাসী উইঘুরদের মুক্তি দেওয়ার পর মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হলো। দেশটির পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মাহাথির বলেন, ‘তারা এই দেশে কোনও অন্যায় করেনি। তাই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
গত মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ চীনের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আগের প্রশাসনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রজেক্ট বাতিল করেছে। চীনের জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমনাভিযান চালানোর জন্য বেইজিংকে অভিযুক্ত করে থাকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।
মুক্তি পাওয়া উইঘুরদের আইনজীবী ফাহমি মইন বলেন, “আমাদের পক্ষের আবেদনের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় একমত হওয়ায় তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।”
বেইজিংয়ের সরকার বরাবরই উইঘুরদের বিরুদ্ধে জিনজিয়াংয়ের সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধে হামলার জন্য দায়ী করে থাকে। চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি উইঘুরদের আটক করে নির্যাতন এবং তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপরও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। তবে বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন