ঢাকার ধামরাই পৌর শহরের হাজী মোতালেব আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র অমিত হোসেন (১২) গত ২ দিন পূর্বে অপহরণ হয়। অপহরণ করার পর অপহৃতের পরিবারের কাছে মুক্তিপন হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে আসছিল অপহরনকারি চক্র। অমিত হোসেন পৌরসভার ছয়বাড়িয়া মহল্লার সালাউদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় ইলিয়াস নামের একজনকে আটক করে গতকাল সোমবার আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পৌরসভার ছয়বাড়িয়া মহল্লার হাজী মোতালেব আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র অমিত হোসেন নানা বাড়ি থেকে ছয়বাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে অমিত হোসেনকে মজা কিনে দেয়ার কথা বলে অপহরন করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে অমিত হোসেনের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
এ মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে অমিতের পরিবারের লোকজন বিশেষ উপায়ে অপহরণকারী ইলিয়াসকে ফেইজ বুকের মাধ্যমে দেখতে পায়। পরে এলাকবাসী অপহরণকারীকে শনাক্ত করে রোববার রাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অপহরণকারীকে আটক করার পরই অপহৃত অমিতকে বাড়ির কাছে ছেড়ে দেয়। আটক ইলিয়াস ফরিদপুর জেলার কোতয়ালি থানার দুলালদি গ্রামের মোন্নাফ শেখের ছেলে। অপরহন করার পর ইলিয়াসের ঘরের ভিতর স্কুল ছাত্র অমিতকে হাত-পা মুখ গামছা বেঁধে রাখে। অমিত হোসেনের বাবা সালাউদ্দিন বলেন, ছেলেকে অপহরন করার পর আমার কাছে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মূল অপহরনকারি আটক আছে বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন