কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে
কাপ্তাই হ্রদের পানি হ্র্রাস পাওয়ার সাথে সাথে কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে গেছে। এবং কয়েকটি শিল্প কারখানার উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। বেকার হয়ে পড়া লোকজনের দিন কাটছে অভাব অনটনে। সরকার হারাচ্ছে কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব। কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভর করে চলছে দেশের বৃহৎ কর্ণফুলী কাগজ কল, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৎস্য উৎপাদন, বিউবো কাঁচামাল পারাপার কার্গো টলিসহ আরো শতাধিক শিল্পকারখানা। এছাড়া পানির ওপর নির্ভর করে চলছে কয়েক লাখ লোকের কাঁচামালের ব্যবসা। প্রতিবছর কাপ্তাইয়ে মার্চ হতে জুন পর্যন্ত কোনো বর্ষা না হওয়ার ফলে দেশের একমাত্র বৃহৎ পরিকল্পিত হ্রদটি ক্রমেই পানি শুকিয়ে মড়া খালে পরিণত হয়। আর এ হ্রদের পানির ওপর নির্ভর করে চলে এসব শিল্প কলকারখানা ও লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান। বর্তমানে পানি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন একেবারে কমে গেছে। এবং বেকার হয়ে পড়েছে ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েক লাখ লোক। যার ফলে সরকার এ সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। বাঁশ ব্যবসার সাথে জড়িত আবুল কাশেম বলেন, আমাদের এখন দুরদিন যাচ্ছে কারণ পানি নেই ব্যবসাও নেই। মাছ ব্যবসায়ী নবী হোসেন বলেন, পানির ওপর নির্ভর করে চলে মাছ ব্যবসা। পানি কমে যাওয়ার ফলে ব্যবসা বন্ধ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, পানি নেই ব্যবসা নেই। এদিকে এলাকার সচেতন লোকজন বলেন, কাপ্তাই হ্রদের গভীরতা একেবারে কমে গেছে। যদি হ্রদ কমিটির পক্ষ হতে কাপ্তাই হ্রদ খনন করা হতো তাহলে কিছু পরিমাণ পানি থাকত। দিন দিন কাপ্তাই হ্রদের গভীরতা কমে গিয়ে হ্রদ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতিবছর এর মাশুল গুণতে হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষের। কখন পানি মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে কাপ্তাই হ্রদ কানায় কানায় পূর্ণ হবে তার জন্য অপেক্ষা করছে কর্মের সাথে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন