শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

চলচ্চিত্রের সবাইকে নিয়েই ভালো থাকতে চাই-শাবনূর

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিগত তিন দশকে জনপ্রিয় নায়িকার মধ্যে শীর্ষ স্থানে শাবনূরের নামটি অনায়াসে চলে আসে। চলচ্চিত্রে এখন নিয়মিত না হলেও কোটি ভক্তের প্রিয় নায়িকার তালিকায় তিনি রয়েছেন। এই জনপ্রিয় নায়িকা তার চলচ্চিত্রের পথচলায় ২৫ বছর পূর্ণ করছেন। পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর চলচ্চিত্রে শাবনূরের অভিষেক হয়। এমবি ফিল্মস লিঃ প্রযোজিত আজিজ মোহাম্মদ ভাই নিবেদিত এই চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন সাববীর। প্রথম চলচ্চিত্র ব্যবসা সফল না হলেও মরহুম পরিচালক জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহ’র সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করে আলোচনায় চলে আসেন। তারপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সালমান শাহর সঙ্গে একে একে তিনি ‘বিক্ষোভ’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘বিচার হবে’,‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু ’সহ আরো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চলে আসেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ওমর সানীর সঙ্গেও তিনি ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দেন। ওমর সানির সঙ্গে ওয়াকিল আহমেদ’র ‘প্রেমের অহংকার’ ও ‘অধিকার চাই’ সিনেমাগুলো দর্শকপ্রিয়তা পায়। সালমানের মৃত্যুর পর শাবনূর জুটি হিসেবে রিয়াজের বিপরীতে কাজ শুরু করেন। তারসঙ্গেও অনেক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শাবনূর যখন যার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন দর্শক তার চলচ্চিত্র দেখার জন্য হলমুখী হয়েছেন। সিনিয়র, জুনিয়র পরিচালকদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করেছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বলা যায় প্রায় টানা পনের বছর চলচ্চিত্রে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে অনেক পরিচালকের অনুরোধে ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয় সত্ত্বার প্রমাণ দেন। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৫ সালে তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এটিই তার প্রথম এবং একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের এই পথচলা প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের এতোটা সময় পেরিয়ে এসেছি ভাবলেই অবাক হই। কতো প্রিয়মুখ এখন আর নেই। আল্লাহর রহমতে চলচ্চিত্রে এখনো যথেষ্ট সম্মান নিয়েই আছি। আমার অভিনয় জীবনের পথচলায় আমার প্রত্যেক চলচ্চিত্রের পরিচালক, প্রযোজক, সিনেমাটোগ্রাফার, কাহিনীকার, প্রোডাকশন বয়, ট্রলিম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার বোন ঝুমুরের কথা উল্লেখ করতেই হয়। সবার সহযোগিতায় আমি আজকের শাবনূর। চলচ্চিত্রের সবাইকে নিয়ে আমি ভালো থাকতে চাই।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন