বুধবার ভোরে কাশ্মীরে এক বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন নিহত হয়েছে। এর জেরে রাজধানী শ্রীনগরে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, ভোরে ফাতেহ কাদাল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন বিদ্রোহী ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন রইস নামের বেসামরিক ব্যক্তি। এই ঘটনার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীনগরের স্কুল ও কলেজগুলো। শ্রীনগরের রাস্তায় মোতায়েন করা হয় শত শত আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। কাশ্মির উপত্যকা জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট। খবর আল জাজিরা।
কাশ্মির পুলিশ জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিকে শ্রীনগরের ফাতেহ কাদাল এলাকায় খানকায়ে মৌলা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। ওই অভিযান বন্দুকযুদ্ধে পরিণত হয়। বন্দুকযুদ্ধে, তাদের ভাষায় তিন সন্ত্রাসী নিহত ও এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
রইসের ভাবী ৩৩ বছরের জান বলেন, ‘রাত বারোটার দিকে দরজায় টোকা পড়লে আমরা উঠে পড়ি। তারা ছিল পুলিশ। তারা আমার দেবরকে তুলে নিয়ে যায়। তার ভাগ্যে কি ঘটেছে আমরা তা জানতে পারিনি। ’ তিনি বলেন, আমাদের (নারীদের) একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি পানিও দেওয়া হয়নি। সকাল পর্যন্ত জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছি’।
স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা মাহফুজা জান আল জাজিরাকে বলেন, পুলিশ এখানকার যে কাউকে মেরে ফেলে তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে পারে। এভাবে তারা হাজার হাজার মানুষকে মেরে ফেলেছে। আর বিশ্ববাসী এই রক্তপাতের ব্যাপারে কোনো কথা বলে না।
বুধবার ভোরের ঘটনা সম্পর্কে ২৫ বছর বয়সী স্থানীয় তরুণ আতিফ আহমেদ বলেন, যে বাড়িতে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে তা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশের আরও দুটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতারা বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন