চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কমেছে কলেরা। গত ১৮বছরে ইতিবাচক হারে কমেছে কলেরা রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও জনমিতি পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত ১৪২টি গ্রামের ডায়রিয়া রোগীর মল পরীক্ষা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৫৫, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬২ এবং কুমিল্লার দাউদকান্দির ২৫ টিসহ ১৪২টি গ্রামের ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মল পরীক্ষা করে দেখা যায় প্রতিবছর এসব এলাকায় কলেরা রোগীর সংখ্যা কমেছে।
মতলব আসিডিডিআরবি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১ হাজার ৪১ জন ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে কলেরার জীবানু পাওয়া যায় ২৪ জনের শরীরে। গত ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অনুসন্ধানে দেখা যায় ২৬ হাজার ৬৩১ জন ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে কলেরার জীবানু পাওয়া যায় ২ হাজার ২৩ জন রোগীর মধ্যে। পরিসংখ্যানে প্রতি বছর ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে কলেরা রোগী। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ভরপুর ডায়রিয়া রোগী, তবে কলেরা রোগী সংখ্যা খুবই কম। ডাক্তার ও নার্সরা রোগীদের সেবা দিতে ব্যস্ত। জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামের শিশু মিমের মা কুলসুমা আক্তার জানান, মেয়ের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও একাধিকবার বমি হওয়ায় গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করান। তাকে খাবার সেলাইনসহ বেবিজিংক দেওয়া হয়েছে, এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। আইসিডিডিআরবির চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন, ডায়রিয়া বা কলেরা খাদ্য বা পানিবাহিত রোগ। দুষিত পানি পান এবং ময়লা খাবার খেলে এ রোগ হয়। আক্রান্ত ৬ মাস বয়সী শিশুদের পরিমানমত খাবার সেলাইন ও মায়ের বুকের দুধ খেতে দেওয়া হয়। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আল ফজল খান বলেন, কলেরা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ইতিবাচক। তবে কি কারনে এর সংখ্যা কমছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে চিকিৎসক ও গবেষকরা কাজ করছেন তার ফল পাওয়া গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন