ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট লারা আল কাসেমের দেশত্যাগের আদেশ বাতিল করেছে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন নাগরিক লারা আল কাসেম ইসরায়েলকে বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট, স্যাংকশনস (বিডিএস) আন্দোলনে যুক্ত। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন মানবিক বিষয়ে জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। বিডিএস সংশ্লিষ্টতার জন্য ইসরায়েল লারাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ রায়ের মধ্য দিয়ে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার সরকারি সিদ্ধান্ত রদ হয়ে গেল। খবর আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ২২ বছর বয়সী লারা আল কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সাউথওয়েস্ট র্যাঞ্চের ফোর্ট লডারডেলের অধিবাসী। তিনি ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন শাখার সাবেক সভাপতি। তিনি ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরবর্তীতে ‘ট্রানজিশনাল জাস্টিস’বিষয়ে পড়তে ইসরায়েলের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন। ইসরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়টি তাকে সে অনুমতিও দেয়। মিয়ামিতে অবস্থিত ইসরায়েলি কনস্যুলেট থেকে তাকে ভিসা দেওয়া হয়। কিন্তু ২ অক্টোবর তেল আবিব বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হয়, ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। লারা ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। ইসরায়েলে পড়তে গিয়ে ইসরায়েলকে বয়কটের বদলে গ্রহণ করেছেন লারা, এমন ভাষ্যের ভিত্তিতে তার ইসরায়েলে থাকার সুযোগ পাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন আইনজীবীরা। হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ও ওই একই যুক্তিতে তার মুক্তি দাবি করে। ১৫ দিন ধরে আটক রাখে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন