বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীন-ভারত সামরিক সম্পর্কের উন্নতি চীনা মিডিয়ার অভিমত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্পন্সর করা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ সত্তে¡ও চলতি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্কে ‘উন্নতি’ ঘটেছে। সিকিম সীমান্তে গত বছর দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। প্রতিবেদনটি লিখেছে পিএলএ একাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্সেসের ওয়্যার স্টাডিজ কলেজ ও পিএলএ ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির জয়েন্ট সার্ভিস একাডেমি।
এতে আরো বলা হয়, দুই দেশের সামরিক বাহিনী উচ্চপর্যায়ের সীমান্ত বৈঠক আয়োজনে সম্মত হয়েছে। তারা একে অপরের সামরিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমান্ত রক্ষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেও রাজি হয়েছে। ভবিষ্যতে আর যাতে দোকলাম ধরনের সঙ্কটের সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এই অগ্রগতি হয়েছে। দুই নেতা সা¤প্রতিক সময়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
এতে বলা হয়, দুই নেতা বর্তমান বিশ্বের প্রধান প্রধান ঘটনা নিয়ে কৌশলগত মতবিনিময় করেন। তারা সার্বিকভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন। তাছাড়া চীন-ভারত স্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যত নিয়েও আলোচনা করেন। তাদের এসব আলোচনাই দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক উষ্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে ভবিষ্যতে দুই দেশ অনিবার্যভাবে মুখোমুখি হতে পারে- এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রতিবেদনে বিচক্ষণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেয়া হয়। তাছাড়া আস্থা বৃদ্ধি, সম্প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, ইতিহাস বলছে যে দুই দেশ যখন এতে অপরের প্রতি আন্তরিকতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও একে অপরের উদ্বেগের প্রতি যথাযথ নজর দেয়, নীতিগত পর্যায়ে একে অপরকে সহযোগিতা করতে থাকে তখন তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যের সৃষ্টি হয়। ওই পর্যায়ে চীন ও ভারতের মধ্যকার মতপার্থক্য যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে। সামরিক মহড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে এতে বলা হয়, দুই দেশ হাতে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের সামরিক বাহিনী উইন-উইন সহযোগিতা বিকাশ ঘটাতে পারে, তাদের সামরিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে। সূত্র : এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন