বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

রোমাঞ্চে মোড়ানো শেষ দিন

মুমিনুলের ঝড়ো সেঞ্চুরি * খালেদ-নাঈমের ম্যাচে ১০ উইকেট

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৫৬ পিএম

জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ শেষ দিনে জয়-পরাজয়ের মুখ দেখবে তা অনুমিতই ছিল। কিন্তু এত নাটকীয়তা হবে তা নিশ্চয় কেউ কল্পনাও করেননি। ড্রয়ের দিকে এগুতে থাকা ম্যাচে শেষ দিনে ১৫৮ রানে অল আউট হয়ে রাজশাহীর কাছে হেরেছে খুলনা। জয়ের সম্ভবনা জাগিয়েও রংপুরের কাছে ৫ রানে হেরে যায় বরিশাল। আরো বড় নাটক মঞ্চস্থ করে ঢাকা মেট্রোকে ৩ রানে হারিয়েছে সিলেট।

সিলেটের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট হাতে নিয়েও গতকাল ১৯ রানের হিসাবটা মেলাতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। বলতে গেলে মেলাতে দেননি কালই টেস্ট দলে ডাক পাওয়া খালেদ আহমেদ। তবে সেট ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলামকে (৭৮) ফিরিয়ে আসল কাজটা করেন এনামুল হক জুনিয়র। ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ৩ রান দূরত্বে গুটিয়ে যায় মেট্রো। দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট নিয়ে ও ক্যারিয়ারে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়া খালেদ হন ম্যাচসেরা।

শেষ দিকে রোমাঞ্চ ছড়ায় বরিশাল-রংপুর ম্যাচও। ২৩০ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে ১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বরিশাল। সেখান থেকে ৫৪ রানের জুটিতে জয়ের সম্ভবনাও তৈরি করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে ৬ রানের হিসাব মেলাতে পারেনি কামরুল হাসান রাব্বির দল। ৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রংপুর।

ঢাকার বিপক্ষে চট্টগ্রামের জয়টি অবশ্য কাম্যই ছিল। ২০২ রানের লক্ষ্যে মুমিনুল হকের ব্যাটিং দৃড়তায় আগের দিনই ২ উইকেটে ১১৩ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। এদিন কোন বাধা ছাড়াই অবিচ্ছিন্ন ১৮৩ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল হক ও তাসামুল হক। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে প্রথম শ্রেনিতে নিজের ১৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল (১১৫ বলে ১১ চার ও দুই ছক্কায় ১১১)। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে ব্রত হয়ে পড়া মুমিনুলের হয়ত নির্বাচকদের উদ্দেশে এটা একটা বার্তাও। তবে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ১৭ বছর বয়সী স্পিনার নাঈম হাসান।
খুলনার ম্যাচটি ছিল ড্রয়ের অপেক্ষায়। তিন দিনেও দুদলের প্রথম ইনিংসও যে শেষ হতে বাকি ছিল। শেষদিনে হাতের এক উইকেটে ১৩ রান যোগ করে প্রথম ইনিংসে ৪৩১ রান করে রাজশাহী। এরপর ফরহাদ রেজা-শফিউল-মুক্তারদের মিলিত দারুণ বোলিংয়ে ৬১ ওভারে খুলনাকে ১৫৮ রানে গুটিয়ে দিলে তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩৭ রান। দুই উইকেট হারিয়ে যে লক্ষ্য সহজেই পূরণ করে রাজশাহী। জাতীয় দলের ডাকে চট্টগ্রামে পাড়ি দেয়ায় খুলনার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি সৌম্য সরকার।

এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার প্রথম স্থান আরো সুসংহত করল রাজশাহী। খুলনাকে তলানীতে ঠেলে দুইয়ে উঠে এসেছে রংপুর। চার ম্যাচে জয়হীন থাকা বরিশাল তিনে। প্রথম স্তরের আগের তিন রাউন্ডের সবকটা ম্যাচই ড্র হয়। দ্বিতীয় স্তরে প্রত্যেক দলের পাশেই জয় একটি করে। তবে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা মেট্রো, এরপরেই চট্টগ্রাম। তিন ও চারে যথাক্রমে ঢাকা ও সিলেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার (২য় স্তর)
ঢাকা : ২৮৮ ও ১৫১।
চট্টগ্রাম : ২৩৮ ও ৪২.৪ ওভারে ২০৫/২ (মমিনুল ১১১*, তাসামুল ৮৯*; সালাউদ্দিন ১/১২, শুভাগত ১/৫৩)।
ফল : চট্টগ্রাম বিভাগ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : নাঈম হাসান (চট্টগ্রাম)।
সিলেট-ঢাকা মেট্রো, রাজশাহী (২য় স্তর)
সিলেট : ৩১২ ও ১৮৪
ঢাকা মেট্রো : ৩০০ ও ৪৮.২ ওভারে ১৯৩ (সাদমান ৭৮, শামসুর ২৯, আশরাফুল ১৪, জাবিদ ২৮*; ইবাদত ২/৪৭, খালেদ ৫/৫৪, শাহানুর ১/১৫, এনামুল ২/৮)।
ফল : সিলেট বিভাগ ৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : খালেদ আহমেদ (সিলেট)।
খুলনা-রাজশাহী, খুলনা (১ম স্তর)
খুলনা : ৩০৭ ও ৬১ ওভারে ১৫৮ (রবি ২৪, মেহেদি ১৯, নুরুল ২২, তুষার ১৯, নাহিদুল ৩০*, মইনুল ২৩; শফিউল ৩/৫৯, রেজা ৪/২৬, মুক্তার ৩/১৩)।
রাজশাহী : (তৃতীয় দিন শেষে ৪১৮/৯) ১৫৫.৩ ওভারে ৪৩১ (শফিউল ১৩*, সাকলাইন ৮; আল আমিন ২/৭৭, মইনুল ২/৬৩, সৌম্য ২/৫৬) ও (লক্ষ্য ৩৭) ৪.৪ ওভারে ৩৭/২ (মাইশুকুর ৭* জহুরুল ১৫*; আল-আমিন ২/১৭)।
ফল : রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ফরহাদ রেজা (রাজশাহী)।
রংপুর-বরিশাল, রংপুর (১ম স্তর)
রংপুর : ১৪৭ ও ২২৯
বরিশাল : ১৪৭ ও ৮০.২ ওভারে ২২৪ (আল-আমিন ৫২, মোসাদ্দেক ২৯, নুরুজ্জামান ৪৬; শুবাশিস ২/৪৪, রবিউল ৪/৬৩, সাজেদুল ১/৩২, সঞ্জিত ২/৪৩)।
ফল : রংপুর ৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : রবিউল হক (রংপুর)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন