কুতুবউদ্দিন আহমেদ
কাজী আবদুল ওদুদ মুসলিম সাহিত্যের অগ্রসরমান চিন্তক। বিংশ শতকের টালমাটাল সময়ে দাঁড়িয়েও যখন মুসলিম সাহিত্যিকগণ নিজস্ব-বৈরী খোলস থেকে বেরুতে পারছিলেন না; ভাষার জড়তা থেকে শুরু করে মানসিক জড়তা এদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল; ঠিক সেই মুহূর্তে কাজী আবদুল ওদুদ অতি বিচক্ষণতার সঙ্গে মুক্তচিন্তার ঝা-া হাতে নিয়ে এগিয়ে এলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জেনে রাখা ভালো, এই প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র ছিল ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আর এর মুখপত্র ছিল ‘শিখা’। শিখা পত্রিকায় সত্য ও ন্যায় বিশ্লেষণের দায়ে ওদুদ সাহেবকে ঢাকার নবাবদের রোষানলে পড়তে হয় এবং দুর্ভাগ্যক্রমে এই কারণেই তাকে ঢাকার পাট গুটিয়ে কলকাতায় স্থানান্তরিত হতে হয়।
কাজী আবদুল ওদুদের লেখনীর উদ্দেশ্য ছিল একই সঙ্গে সৎ ও মহৎ। নিছক সাহিত্যে তথা সামাজিক ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাহিত্যের মাঠে নামেননি। একটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মুক্তচিন্তাসম্ভবা সাহিত্যধারা বিনির্মিতির লক্ষ্যে তিনি কলম ধরেছিলেন। এক মীর মশাররফ হোসেনকে বাদ দিয়ে বিচার করলে দেখা যায় যে, তৎকালীন বাংলা সাহিত্যধারায় মুসলমান সাহিত্যিকগণ কিছুতেই মূল সাহিত্যধারায় স্থান দখল করতে সক্ষম হচ্ছিলেন না; পক্ষান্তরে ততদিনে হিন্দু সাহিত্যিকরা বাংলা সাহিত্যকে এক অচিন্ত্যনীয় উচ্চতায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। কাজী আবদুল ওদুদ মুসলমান সাহিত্যিকদের এই পিছিয়ে পড়ার সম্যক কারণ খুঁজতে গেলেন এবং তা খুঁজে পেলেনও।
আমরা সকলেই জানি যে, ভারতবর্ষের মুসলমানরা ইংরেজ শাসকদের মনেপ্রাণে তো দূরে থাক তারা শাসক হিসেবে ইংরেজদেরকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারেনি। সুতরাং যারা ইংরেজ শাসনকেই গ্রহণ করতে পারেনি তাদের পক্ষে ভাষা গ্রহণ করা তো আরও কঠিন ব্যাপার। এর কারণ আমরা কম-বেশি সকলেই জানি; কেউ কেউ একাধিক কারণও পেশ করতে পারেন। কিন্তু কাজী সাহেব এর মনস্তাত্ত্বিক একটি কারণ খুঁজে বের করেছেন। কারণটি হচ্ছে :
‘আচারে হিন্দু অনুদার হলেও অপরের ধর্মের প্রতি সে চিরদিন শ্রদ্ধাবান, কিন্তু আচারে যথেষ্ট উদার হয়েও ধর্মমতে মুসলমান অনেক বেশি গোঁড়া। বিধর্মীর ভাষা, আচার এসব সম্বন্ধে কৌতূহলী হওয়া কতকটা তার প্রচলিত শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাইরে। তাছাড়া হিন্দু এতদিন ধরে যথেষ্ট অনুরাগে ফারসিও চর্চা করে আসছিল, তাই নতুন রাজার ভাষা আয়ত্ব করার কথা সহজেই ভাবতে পেরেছিল, কিন্তু নিজেদের প্রাধান্য সম্বন্ধে সচেতন মুসলমানদের বিজাতির ভাষার প্রতি অনুরাগী হওয়া তেমন সহজ ছিল না।’ [বাংলার জাগরণ : কথা প্রকাশ, ঢাকা : পৃষ্ঠা ১১০]
কাজী সাহেবের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা রেখেই মনে প্রশ্ন চলে আসে, উক্তিটিতে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন কি? হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মেই কি উদার-অনুদার ব্যক্তিত্ব নেই? আবার উভয় ধর্মেই কি পরধর্মসহিষ্ণু-অসহিষ্ণুর প্রতুলতা নেই?
সে যাই হোক, হিন্দুরা অগ্র-পশ্চাৎ না ভেবেই সমাজে কেবল নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ইংরেজি ভাষাকে সাদরে গ্রহণ করতে পেরেছিল; অভিমানী মুসলমানরা যা পারেনি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অবশ্য এ বিষয়ে বরাবরই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতবর্ষে মুসলমানরাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ফারসির ব্যাপক প্রসার ঘটে। সরকারি সকল কাজকর্ম চলে ফারসিতে। ওই সময়েও হিন্দু ফারসি শিখতে কুণ্ঠাবোধ করেনি সামান্য। সঠিক সময়ে তারা ফারসি শিখে রাজকার্জে অংশ নিয়েছিল। ঠিক একইভাবে তারা সঠিক সময়ে ইংরেজি শিখে সরকারি অফিস-আদালতের সর্বোচ্চ পদগুলো দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। এর একটি বড় উদাহরণ রাজা রামমোহন রায়। তিনি একই সঙ্গে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, বাংলা, সংস্কৃতসহ অনেকগুলো ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। ভাই গিরিশচন্দ্র সেনকেও এ উদাহরণে টানা যেতে পারে। তিনি একজন হিন্দু-সন্তান হয়েও আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনের প্রথম বাংলা তর্জমা করার গৌরব অর্জন করেন। হিন্দুর সন্তান হয়ে আরবি শেখা এবং মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ বাংলা তর্জমায় তার কোনো কুণ্ঠাবোধ ছিল না। পক্ষান্তরে মুসলমানগণ ইংরেজি শেখা থেকে নিজেদেরকে বিরত রেখে বলা যায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। কাজী সাহেব অবশ্য এর পেছনের কারণগুলোও উল্লেখ করেছেন :
‘হিন্দু ইংরেজি শিক্ষা সম্বন্ধে এত আগ্রহ দেখাল আর মুসলমান কোনো আগ্রহই দেখাল না বরং বিতৃষ্ণার পরিচয় দিল, তার প্রথম কারণ, মুসলমান সমাজের পদস্থরা ছিলেন জমিদার ও উচ্চ রাজকর্মচারী আর হিন্দুসমাজের পদস্থরা কিছুসংখ্যক ছিলেন জমিদার কিন্তু বেশির ভাগ ছিলেন ব্যবসায়ী। ব্যবসা সম্পর্কে ইংরেজদের সঙ্গে তাদের বেশি মেলামেশা হওয়া স্বাভাবিক; আর ইংরেজ রাজত্বের সূচনায় প্রভাব-প্রতিপত্তিতে মুসলমানরা বড় হলেও দেশের অধিক সংখ্যক অধিবাসী ছিল হিন্দু, তাদের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক স্থাপনের দিকে ইংরেজের বেশি আগ্রহ হওয়া স্বাভাবিক।’ [বাংলার জাগরণ : কথা প্রকাশ, ঢাকা : পৃষ্ঠা ১০৯]
হিন্দু সমাজ ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে অবারিত প্রান্তরের দিকে হাত বাড়ায়। ইউরোপীয় শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যয়ন করে তারা অমৃতের সন্ধান লাভ করে এবং এই হিন্দু সম্প্রদায়ের হাত ধরেই ভারতবর্ষে ইউরোপের শিল্প-সাহিত্যের উত্তাপ এসে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজি শেখার বদৌলতেই শুরু হয় বাঙালি জাগরণের। বাঙালি হিন্দু যেন বারুদ হয়ে জমাটবদ্ধ ছিল। ইংরেজি ভাষায় সওয়ার হয়ে ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঢেউ এসে যেন সে বারুদে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। শুরু হয় বাঙালি জাগরণ। খ্রিস্টীয় উনবিংশ শতকের শেষভাগ থেকে শুরু করে বিংশ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত বাঙালি জাতিতে একসঙ্গে অসংখ্য মেধার স্ফূরণ ঘটল। বিশিষ্ট সাহিত্যিক হুমায়ুন কবিরের দৃষ্টিতে :
‘উনিশ শতকে জীবনের নানাক্ষেত্রে বাঙালির প্রতিভা যেভাবে বিকশিত হয়েছিল, কোনো পরাধীন জাতির ইতিহাসে তার তুলনা সহজে মেলে না। শতাব্দীর শুরুতেই রাজা রামমোহন রায়ের মতন যুগান্তকারী প্রতিভার অভ্যুদয় এবং বিভিন্ন দশকে কম-বেশি যে সমস্ত চিন্তানায়ক, সংস্কারক, লেখক, কর্মবীর এবং রাষ্ট্রনেতার আবির্ভাব কেবলমাত্র তাদের নামের তালিকা সংকলন করলেই আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়।’ [বাংলার জাগরণ : কথাপ্রকাশ, ঢাকা : পৃষ্ঠা ১৮১]
উনবিংশ শতকের শেষার্ধ থেকে শুরু করে মূলত বিংশ শতকের গোড়া থেকে ভারতবর্ষে কল্পনাতীতভাবে শিল্প-সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার গণজাগরণ শুরু হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যও যা থেকে বাদ গেল না। বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’ [১৯৫৮] এই গণজাগরণেরই সৃষ্টি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অবাক সন্তান মাইকেল মধুসূদন দত্ত [১৮২৪-১৮৭৩] এই গণজাগরণেরই অমৃত সন্তান। মাইকেল এসে বাংলা সাহিত্যকে এত উচ্চতায় তুলে ধরলেন যে, কোনো বাঙালি তা কল্পনাতেও ধারণ করতে পারেনি। অচ্ছুত বাংলা সাহিত্যকে তিনি মেধা ও মননের সাধনায় বিশ্বমানের বাংলা সাহিত্যে উন্নীত করলেন। মাইকেল সম্পর্কে কাজী আবদুল ওদুদের মন্তব্য :
‘কিন্তু কি বিশেষ সম্পদ জাতি পেল মধুসুদনের কাছ থেকে? ছন্দ ও ভাব দুই ক্ষেত্রেই বহু বিস্ময়কর নতুন সম্পদ তিনি দিয়ে গেছেন তার জাতিকেÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমঝদারেরা আজো শ্রদ্ধায় স্মরণ করে চলেছেন তার সেই সব দান। কিন্তু শ্রেষ্ঠদান যেটি তার কাছ থেকে পেল সেটি হচ্ছেÑ ইউরোপের কাব্যজগৎ আর বাংলার বা ভারতের কাব্যজগৎ এই দুয়ের মধ্যে এক অচ্ছেদ্য প্রেমের যোগ যে তিনি স্থাপন করতে পারলেন। ইউরোপের যে কাব্যকলার দিকে বাঙালি কাব্যরসিকেরা এতদিন তাকাচ্ছিলেন আনন্দে আর গভীর বিস্ময়ে, সেই কাব্যকলা মধুসূদনের প্রতিভার পথ বেয়ে এলো যেন বাংলার মর্যাদাময়ী বধূ হয়ে।’ [বাংলার জাগরণ : কথা প্রকাশ, ঢাকা : পৃষ্ঠা ৭৮]
আমরা জানি যে, মধুসূদনের তৈরি করা পথ বেয়েই আজও বাংলা সাহিত্য অগ্রসরমান।
চিন্তাশীল গদ্যশিল্পী কাজী আবদুল ওদুদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সত্তা যে, তিনি প্রথিতযশা লেখক ও প-িতদের কর্মযজ্ঞগুলো নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন। সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক কোনো ভেদরেখায় তিনি কাউকে বিভাজিত করতে চাননি। বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে তার কর্ম নজিরবিহীন এবং যা সকল গোষ্ঠীর নিকট সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। আমরা আপাতদৃষ্টিতে লক্ষ করি যে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজ তথা ধর্ম নিয়ে সমস্ত জীবন কত না গবেষণা, কত না বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন! অথচ তার চারপাশ দিয়ে যে মুসলমান সমাজ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল তাদের উন্নতিকল্পে সযতেœ কোনো পদক্ষেপই তিনি কোনো দিন হাতে নিতে পারেননি, মুসলমান সম্পর্কে তিনি সারাজীবন একটি কথাও বলেননি। আমরা সকলেই একবাক্যে এ অভিযোগের পক্ষে সায় দেই। কিন্তু উদারচেতা ওদুদ বিষয়টি গ্রহণ করেছেন এভাবে :
‘এই দিনে কোনো কোনো শিক্ষিত মুসলমান বাঙালির মুখেও শুনতে পাওয়া গেছে এই প্রশ্ন : রবীন্দ্রনাথ একজন অতি বড় কবি, মহামানব, বিশ্বপ্রেমিক কিন্তু তার বাড়ির কাছের মুসলমানদের জন্য তিনি কী করেছেন?
এ রূপ প্রশ্ন বহুবার আমাকে শুনতে হয়েছে। কিন্তু একবার একজন মুসলিম সাহিত্যিক এ প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছিলেন তা মনে রাখবার মতো; তিনি বলেছিলেন : আকাশের সূর্য মুসলমানের জন্য বিশেষ কী করেছে?
রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের সমালোচকদের উক্তির এ-ই হয়তো শ্রেষ্ঠ প্রত্যুত্তর। কবি আকাশের সূর্যের মতোই একজন সহজ মানববন্ধু। অবশ্য যেহেতু কবি একজন মানুষ, এক বিশেষ পরিবেষ্টনের সৃষ্টি, সে জন্যে অত্যন্ত কাছে থেকে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে আলোকের উৎস সূর্যেরও ধরা পড়ে কালো দাগ। যে গোলাপ সৌষ্ঠব আর গন্ধে অতুলনীয় তার স্পর্শ লোভাতুর লাভ করে হাতে কঁাঁটার আঘাত। কিন্তু হাতে কালো দাগ সত্ত্বেও সূর্য সূর্যই। কাঁটা সত্ত্বেও গোলাপ গোলাপই।’ [ রবীন্দ্রনাথ ও মুসলমান সমাজ : শাশ্বত বঙ্গ]
কাজী আবদুল ওদুদ একজন বিদগ্ধ পাঠক এবং লেখক। অতি সূক্ষ্ম ও নিরপেক্ষ তার চিন্তণকলা। লেখককে তিনি লেখক হিসেবেই দেখতে চেয়েছেন; হিন্দু বা মুসলমান হিসেবে নয়। এ সম্পর্কে তার একটি মত প্রণিধানযোগ্য :
‘সাহিত্যে যে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নেই তা ঠিক নয়; কিন্তু সাহিত্যিক হিন্দুর, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের আর সাম্প্রদায়িক হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের এক চেহারা নয়। সাম্প্রদায়িক হিন্দু অথবা মুসলমান তার দৈনন্দিন কাজ ও ব্যবহারের ভিতর দিয়ে প্রধানত জগৎকে এই বোঝাতে প্রয়াস পায় যে, সে আগে হিন্দু অথবা মুনসলমান তারপরে মানুষ। কিন্তু সাহিত্যিক হিন্দু অথবা মুসলমান অন্তরে অন্তরে জানে, সে আগে মানুষ তারপরে হিন্দু অথবা মুসলমান।’ [মুসলমানের সাহিত্য-সমস্যা : শাশ্বত বঙ্গ]
বলা যায়, কাজী আবদুল ওদুদ বাস্তবতার সঙ্গে চিন্তাশক্তির সংযোগ ঘটিয়েছেন অতি নিবিড়ভাবে। সাহিত্য সমালোচনায় তিনি বাস্তবতার নিরিখে ক্ষুরধার মন্তব্য করতে গিয়ে একবিন্দু পিছপা হননি। এই সমস্ত ক্ষুরধার আলোচনা-সমালোচনা থেকেই তার ধ্যান-ধারণা, রুচি ও মার্জিতবোধের যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায়। সাম্প্রদায়িকতার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি। তার নানাবিধ প্রবন্ধ-নিবন্ধ থেকে প্রকৃত লেখক সত্তার আচরণ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনিই সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের সর্বজনগ্রাহ্য আলোচক ও সমালোচক; হিন্দু অথবা মুসলমানের লেবেল আঁটা নয়। তাই সমালোচনা সাহিত্যে তিনি মাইলফলক হয়ে থাকবেন চিরদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন