শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মৌলভীবাজারে একই স্থানে ইজতেমা ও তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের ডাক

দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:৪৫ পিএম

আগামী ৭, ৮, ৯ ও ১০ নভেম্বর মাওলানা সাদের অনুসারীদের আয়োজনের মৌলভীবাজার ইজতেমা মাঠের একই স্থানে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের ডাক দিয়েছেন জেলার ২৫০টি কওমি মাদ্রসার ও ওলামা মাশয়েখরা।
জেলা ইজতেমা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে কওমি মাদ্রসার ও ওলামা মাশয়েখদের আপত্তি থাকা সত্বেও মাওলানা সাদ সাহেবের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের লক্ষ্যে ইজতেমার আয়োজন করেছেন একটি পক্ষের। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আপত্তি থাকার পরও বিরোধপূর্ন তথাকথিত ইজতেমার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এ নিয়ে জেলার ওলামা মাশয়েখদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে।
রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, তাবলীগ জামায়েতের মূল নীতি থেকে সরে কিছু ভাই এই ইজতেমার আয়োজন করতে যাচ্ছে। সরকারের সাথে পরামর্শক্রমে আগামী বিশ্ব ইজতেমা তাবলীগের কেন্দ্রীয় মারকাজ মসজিদ কাকরাইলের সিন্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ৬৪টি জেলার ইজতেমা টঙ্গিস্থ বিশ্ব ইজতেমারর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। টঙ্গিতে দুই পূর্বে যথাক্রমে ১৮, ১৯ ও ২০ এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ইং অনুষ্ঠিত হবে। ২য় পর্বে মৌলভীবাজার জেলা টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমার অংশগ্রহণ করবে। পৃথক ভাবে জেলা পর্যায়ে ইজতেমা করার সুযোগ নেই।
২৫০টি কওমি মাদ্রসার ও ওলামা মাশয়েখরা আগামী ৭, ৮, ৯ ও ১০ নভেম্বর মৌলভীবাজার মাওলানা সাদের অনুসারীদের ডাকা ইজতেমা আয়োজনের মাঠের একই স্থানে একই তারিখে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের ডাক দিয়েছেন। এ ছাড়াও তারা বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও ইজতেমা মাঠ ঘেড়াও কর্মসূচি দিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের জমহুর ওলামা মাশায়েখ একমত হয়েছেন যে, তিনটি মৌলিক কারণে :- (১) কোরআন ও হাসিদের মনগড়া ব্যাখ্যা (২) তাবলীগের গুরত্ব বুঝাতে গিয়ে তাবলীগ ব্যতীত দ্বীনের অন্যান্য মেহনতকে যথা দ্বীনি শিক্ষা ও তাসাওফ ইত্যাদিকে হেয় প্রতিপন্ন করা (৩) পূর্ববর্তী তিন হজরতজি (হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (র:), হযরত মাওলানা ইউসুফ (র:) ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসান (র:) এর উসুল ও কর্মপন্থা থেকে সরে যাওয়ার কারণে বর্তমানে মাওলানা সাদ সাহেবকে অনুসরণ করা সম্পূর্ণ বর্জনীয় ও নিষিদ্ধ।
জেলা ইজতেমা হলে ধর্মীয় ব্যাপারে মাওলানা সাদ সাহেবের ভ্রান্ত আকিদা বিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গিও প্রচার হবে। যা কোন ভাবেই হতে দেয়া যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা সামছুদ্দোহা, মাওঃ জামিল আহমদ, মুজাহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মাও. রশিদ আহমদ, ফারুক আহমদ ও হাফেজ সুলাইমান আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও জেলর বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন