জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে দশ বছরে দণ্ড ঘোষণা করে দেয়া রায়টি সকল রাজনীতিবিদদের জন্য একটি মেসেজ বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এই রায় নিশ্চই একটি ইঙ্গিত বহন করে যে, রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে কেউ যদি অন্যায় করে সে কোন আইনের উর্ধে থাকতে পারেনা। তাই এই রায় সকল রাজনৈতিকদের জন্য একটি ম্যাসেজ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার পর পরই মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া সহ মোট তিন আসামীর পক্ষে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করা হয়। এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে একটি রিভিশন আবেদন করে। আজকে হাইকোর্ট ডিভিশনে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রায় দিয়ে আসামীদের তিনটি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এবং দুদকের রিভিশন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেছেন। এর ফলে এই রায়ের মাধ্যমে এই মামলাটির হাইকোর্টে পরিসমাপ্তি ঘটলো।
এই মামলার পলাতক আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, যারা এ মামলায় পলাতক আছেন তারা তো হাইকোর্টে আসেননি (আপিল করেননি)। তাই তাদের বিষয়ে কিছু বলার হাইকোর্টের অবকাশ নেই।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে হাজির না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাদের ইচ্ছা। তাদের আদালত সকল সুযোগ প্রদাণ করেছেন। গত চারমাস ধরে হাইকোর্টে ২৮ কার্যদিবস এ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। সম্পূর্ণরকম সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে। এরকম সুযোগ দেওয়া নজিরবিহীন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই রায়কে একতরফা এবং নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতে এ ধরণের সাজা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্যের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, এর কোন সারবত্তা নেই। তারা এতক’দিন শুনানি করেছেন।
মামলাটির পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সাধারণত হাইকোর্টের রায়ের পর ৩০দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে। তবে আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিবেন। এটা তাদের বিষয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন