বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ওয়ানডের আত্মবিশ্বাসেই টেস্টে আলো দেখছেন ইমরুল

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

টেস্টে সর্বশেষ তার ব্যাট ফিফটি ছুঁয়েছিল ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর, মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সময়ের হিসেবে তা দু’বছরেরও বেশি। এই সময় খেলা মোট ১৬ ইনিংসে ৪০ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন আর মাত্র একবার। ইনিংস প্রতি রান করেছেন ১৮.৯৩ করে। যেকোনো টেস্ট ব্যাটসম্যানের জন্যই পরিসংখ্যানটা বিব্রতকর। আরেকটি অক্টোবরে সিলেটে দাঁড়িয়ে ইমরুল কায়েস শোনালেন রানে ফেরার কথা।

এক সময় টেস্টেই বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ইমরুল। তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে হয়ে উঠেছিলেন অপরারিহার্য। কিন্তু ক্রমেই লাল বলে তার পারফরম্যান্স হয়ে উঠেছে বিবর্ণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ফিফটির পর ১৬ ইনিংসে যেতে পারেননি পঞ্চাশের ঠিকানায়। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একটি টেস্টেও জায়গা পাননি একাদশে।

তবে গত এশিয়া কাপ থেকে ইমরুলের ক্যারিয়ারে যে পালাবদলের শুরু, সেটি নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে জিম্বোবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। তিন ম্যাচে করেছেন রেকর্ড ৩৪৯ রান। টেস্ট দলেও ওপেনার বলতে তিনি আর লিটন দাস। দুইজনেরই খেলা তাই নিশ্চিত। সংস্করণ ভিন্ন হলেও ইমরুলের আত্মবিশ্বাস অটুট। সেটি কাজে লাগিয়ে রান করতে চান টেস্ট সিরিজে।

ওয়ানডেতে ইমরুল রানের ফোয়ারা বইয়ে চলেছেন। তাকে বাদ দিয়ে দল এখন ভাবাই যায় না। অথচ টেস্টে ঠিক বিপরীত অবস্থা। চরম রান খরায় থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে। তামিম ইকবাল না থাকায় এবার একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে অবশ্য সংশয় নেই। এই সুযোগে তাই দীর্ঘ পরিসরে পুরনো ছন্দে ফেরার আশা তার।

আসি-যাই অবস্থায় ছিলেন ওয়ানডেতেও। এশিয়া কাপ দিয়ে ফেরার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচ সিরিজে রেকর্ড ৩৪০ রান করার পর নিজেকে চিনিয়েছেন ভিন্নভাবে। খেলার ধরন, মেজাজেও দেখা মিলিছে ভিন্ন ইমরুলের। ওয়ানডেতে যে পথ দিয়ে আলো এসেছে, টেস্টেও তা হবে এমনটা নয়। টেস্ট খেলা হবে ভিন্ন বলে, ভিন্ন পরিস্থিতিতে। তবে সংস্করণ যাইহোক, রানে আছেন বলেই সংশয়ের চোরাবালি থেকে বেরুনোর আশা দেখছেন ইমরুল, ‘সংস্করণ ভিন্ন। যদি রানে থাকেন, কীভাবে রান করবেন সেটা মাথায় সাজানো থাকে। এটা ওয়ানডে, টেস্ট বা টি-টোয়েন্ট হোক। জিনিসটাই হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। সবাই জানি, যখন রানে থাকি না তখন মনে কিছুটা সন্দেহ কাজ করে। চেষ্টা করছি যে আত্মবিশ্বাস আছে, টেস্টে সেটা কাজে লাগাতে।’

গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লম্বা সময় ধরে অনুশীলন শেষে বললেন কেবল মধুর স্মৃতি ধরে রেখেই এগুতে চাইছেন তিনি, ‘গত দুই বছর টেস্টে ভালো খেলিনি। আগে ভালো খেলেছি সেটা তো মাথায় আছে। একটা সময় মানুষের খারাপ যায়। ওই জিনিসটা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। একটা সময় বড় দলের বিপক্ষে রান করেছি। জানি ওই জায়গায় কীভাবে সামলাতে হয়। চেষ্টা করব ভালোভাবে টিকে যাওয়ার।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন