সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য দুই জন শিক্ষক। ফলে প্রতিষ্ঠানে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক কম হওয়ায় সরকারের মান সম্মত শতভাগ প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ চরাঞ্চলবাসীর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি ৪০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে কমপক্ষে সাত জন শিক্ষক থাকার কথা। সেখানে দুই জন শিক্ষক দিয়ে কোন রকমে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। দু’জন শিক্ষক দুই শ্রেণিতে পাঠদান করার সময় অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা হৈ-হুল্লোর করে সময় কাটান। অনেক শিক্ষার্থী পাঠদানের সময়েও খেলাধুলা করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রেণি কক্ষে ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। যার কারণে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই সাথে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্থানীয় অভিভাবক আব্দুল মান্নান জানান, ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করে, কিন্তু শিক্ষক সংকট থাকায় লেখা পড়া হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন জানান, দুই জন শিক্ষকের পক্ষে পাঁচটি শ্রেণি কক্ষে পাঠ দান করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমি শিক্ষক চাহিদার তালিকা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছি। কিন্তু কেন শিক্ষক দেয়া হচ্ছে না তা জানি না। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নতুন শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের শূন্য পদে শিক্ষক বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও বিষয়টি গুরুত্বের সহিত দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন