শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ইতিহাসের সাক্ষি হচ্ছেন সাবেকরাও

মিসবাহ উদ্দীন আহমদ | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম


সিলেটে ৩ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। অভিষেক ম্যাচকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শফিউল আলম নাদেল। এসময় সিলেটের অভিষেক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনের কথা জানান তিনি। শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘সিলেটের অভিষেক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা। আমরা সিলেটবাসীকে মাঠে এসে টেস্ট ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘অভিষেক টেস্ট হলেও ক্রিকেটের রীতিনীতি অনুসারে খুব বেশি কিছু আয়োজনের সুযোগ নেই। টেস্ট ক্রিকেটের চিরায়ত ঐতিহ্যের কাছে আমরা ফিরে যেতে চাই। এজন্য সিলেটে অভিষেক টেস্ট উপলক্ষে আমরা বেল নিয়ে এসেছি। এই বেল বাজিয়ে ম্যাচ রেফারি ম্যাচ শুরু করবেন। অভিষেক ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা স্যুভেনিয়র করছি। সিলেটের ক্রিকেটের ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ নানা বিষয় নিয়ে বিশেষ প্রকাশনা বের করছি। আমরা স্মারক কয়েন করছি, যেটা দিয়ে ম্যাচের টস হবে। এছাড়া উভয় দলের জন্য থাকছে বিশেষ স্মারক।’

নাদেল বলেন, ‘স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার। এই অভিষেক টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে আমরা দুদিন প্রচারণা চালাবো। দর্শকদের উদ্দেশ্যে আমাদের আহবান থাকবে, মাঠে কোনো ধরনের খাবার বা পানীয় নিয়ে আসবেন না। ছোড়া যায় এমন কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। মাঠের মধ্যে খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে। দর্শকরা চাইলে পতাকা বা ব্যানার নিয়ে আসতে পারবেন। মাঠের চারটি প্রবেশ পথে টিকেটের বুথ থাকবে। টিকেটের গায়ে প্রবেশের গেইটের নাম্বারও লিখা থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থীরা যাতে টিকেট ছাড়াই গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারে, তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। প্রথম দিন দর্শকদের চাপ থাকবে বলে আমরা আশা করছি। তাই এ দিন শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো সম্ভব নয়। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে তাদেরকে টিকেট ছাড়া প্রবেশ করানো যায় কিনা, তা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো।’

নাদেল আরো বলেন, ‘অভিষেক টেস্টে আমরা সিলেটের সাবেক টেস্ট প্লেয়ারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনেকেই আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সকলকে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন। এই স্টেডিয়াম শুধুমাত্র ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যান্য ভেন্যুর তুলনায় এ স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। সাংবাদিকরাও শুরু থেকেই এ স্টেডিয়ামের বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন।’

সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অধীনে একটি ক্রিকেট একাডেমি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে নাদেল বলেন, ‘আমরা সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ক্রিকেটার হান্টিং শেষ করেছি। তাদের নিয়ে এক মাসের ক্যাম্প হবে। ৩ নভেম্বর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ক্রিকেট একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সৌন্দর্য্য, আবাসন ব্যবস্থা ও যোগাযোগর দিক দিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম অনেক এগিয়ে। এই ভেন্যুর প্রতি বোর্ডের আন্তরিকতা আছে। আশা করছি, প্রতি সিরিজেই এখানে ম্যাচ থাকবে। তবে যতো বেশি ভেন্যুতে খেলা হবে, ততোই স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেটের জন্য উপকার হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মারিয়ান চৌধুরী মাম্মি, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ তকরিমুল হাদী কাবী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ শহীদ আহমদ জুয়েল, সদস্য ইমরান আহমদ, পাপলু দত্ত, বিভাগীয় ব্যাডমিন্টন কমিটির চেয়ারম্যান কামরান আহমদ, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জয়দ্বীপ দাস সুজক, মিডিয়া ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন