বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অযত্নে-অবহেলায় ঠাণ্ডাছড়ি পিকনিক স্পট

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভ্রমণ পিপাসুদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০১১ সালের তৎকালীন সিটি মরহুম মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী প্রচেষ্টায় ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওর্য়াডের পশ্চিমে ১৫ একর পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলা হয় ঠান্ডাছড়ি পিকনিক স্পট।

বিগত কয়েক বছর ধরে ওই পিকনিক স্পটটিতে পর্যটকরা ওই স্পটটির প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলেও বর্তমানে এটি অযতে্ন অবহেলার মধ্যে পড়ে আছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন তদারকি না থাকায় পিকনিক স্পটটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই স্পটটি এখন বখাটে-উশৃংঙ্খল যুকদের রমরমা মদ-গাঁজার আসরে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামলে ওই এলাকাটিতে নেশাগ্রস্থদের মতলামিতে সাধারণ জনগণ চলাচল করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমি এই পিকনিক স্পটটিতে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে লোকজন ভিড় করত।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই অসমাপ্ত কাজ গুলো সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারলে প্রতি বছর শীত ও পিকনিক মৌসুমে পর্যটকদের ভ্রমণান্দের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাত লাভবান হতো। বিপুল অংকের রাজস্ব সরকারে কোষাগারে যাবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক মহল।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম অক্সিজেন মোড় হতে দক্ষিণে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে ১০/১২ কিলোমিটার চৌধুরী হাট এসে ফতেয়াবাদ কলেজ রোড দিয়ে সোজা পশ্চিমে সিএনজি/ প্রাইভেট কার যোগে ঠান্ডাছাড়ি রিসোর্ট পিকনিক স্পট বা পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া সহজ। এই ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার রফিক আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগামী বছরের মধ্যে ঠান্ডাছড়ির পার্কের আরো উন্নয়ন কাজ করা হবে। এখানে শিশুদের জন্য বেশ কিছু দুলনা নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ঠান্ডাছড়ি পার্ক দেখা শুনার জন্য আটজন দারোয়ান ও চার জন মালি রাখা হলেও তেমন কোন উন্নয়ন বা পরিস্কার পরিচ্ছন্নের চরম অভাব রয়েছে। উদ্বোধনের সময় সেখানে নির্মিত লেকের মধ্যে ৩টি প্যাডেল বোর্ড নামানো হলেও বর্তমানে একটিও নেই।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রধান নগর পরিকল্পনা বিধ মো. রেজা কাইসার জানান, এই পার্ক দিয়ে বর্তমানে কোন ধরনের উন্নয়নের চিন্তা-ভাবনা নেই। তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি এই পার্কে দ্রুত উন্নয়ন করে সেখানে চট্টগ্রামসহ আশেপাশে এলাকার শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য ব্যবস্থা করে দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এই স্পটটিকে আরো উন্নয়ন করে পিকনিক স্পট করা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন