শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গোবিন্দগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বর রাখালবুরুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন বিরুদ্ধে আর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ওই ইউপির ১২ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত এই অনাস্থার প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দেয়া হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন গতকাল শনিবার দুপুরে জানান, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে ১২ সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা প্রস্তাব পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউপি সদস্যরা হলো রুহুল আমিন প্রধান, উম্মে সুফিয়া, এনামুল হক মোল্লা, প্রণয় বিকাশ দেব, রেজাউল করিম প্রধান, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আব্দুল বাকী সরকার, আব্দুর রশিদ মন্ডল, আনিছুর রহমান, নাগিস বেগম, শিরিন আকতার, রিনা বেগম।

গত বুধবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের ১২ সদস্যদের অনাস্থার প্রস্তাবে অভিযোগ করা হয়, চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের সভায় আলোচনা মোতাবেক কার্যবিবরণী প্রস্তুত না করে মনগড়াভাবে কার্যবিবরণী প্রস্তুত করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করে থাকেন। ১৬ অক্টোবর ভুয়া সভা দেখিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের মাধ্যমে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কাজীপাড়া পোটল মাঝিপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটি দাখিল করেন। ট্যাক্সের আদায় বাবদ চার লাখ টাকার মধ্যে নামমাত্র টাকা ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিলেও পরে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই জমাকৃত টাকা বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। একইভাবে পরিষদের বিভিন্ন উৎস থেকে আয়ের তিন লাখ ৯৪ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছন।

এ ছাড়াও পরিষদের সদস্যরা এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৯ নং ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে জনস্বার্থে এই অনাস্থার প্রস্তাব আনা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন