চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। উপজেলার বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে এই জাল ব্যবহার করে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। গতকাল রোববার চাটমোহরের সর্ববৃহৎ রেলবাজার (অমৃতকুণ্ডা) হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের মাঝখানে প্রকাশ্যে বসেছে কারেন্ট জাল বিক্রির হাট। কারেন্ট জাল বিক্রেতাদের অধিকাংশেরই বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। কারেন্ট জাল বিক্রেতা হাসেম আলী, আ. রহমানসহ অন্যরা জানান, হাটের ইজারাদারের সহায়তায় তারা প্রতি হাটেই কারেন্ট জাল বিক্রি করে থাকে। প্রশাসনের লোকজন আসলে ইজারাদারের লোকজনই খবর দেয়। তখন তারা জাল গুটিয়ে গাঢাকা দেয়। কারেন্ট জালের ছবি তুলতে গেলে তারা জানতে চান, কোনো অসুবিধা হবে কিনা? শুধু লেলবাজার হাটই নয়। উপজেলা মির্জাপুর, ছাইকোলা, শরৎগঞ্জ হাটে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তারা ইতোপূর্বে রেলবাজার হাটে অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলেছেন। আবারো অভিযান চালানো হবে। অপর দিকে, উপজেলার চিকনাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ও কিনু সরকারের জোলায় অবৈধ সুতিজাল স্থাপন করে মাছ নিধন চলছে অবাধে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সকল সুতিজাল স্থাপন করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রতিদিন দেশি প্রজাতির হাজার হাজার টাকার মাছ ছেঁকে তোলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন