শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইসির প্রতি আসম রবের হুশিয়ারি: নির্বাচনের পরও যাতে দেশে থাকতে পারেন সে ভাবে কাজ করবেন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:২৩ পিএম

সরকারের সঙ্গে সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন। সোমবার নির্বাচন কমিশনের সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তারা এ বিষয়টি তুলে ধরেন। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ, আনসারের তো যথেষ্ট ক্ষমতা নেই। কোনো বিশৃঙ্খলা হলে সেনাবাহিনী যাতে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে সেটা আমরা বলেছি। সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
আ স ম রব বলেন, আমাদের প্রস্তাব উনারা (ইসি) বিবেচনায় নিয়েছেন। আমরা বলেছি- ইসি তো নিরপেক্ষ সংস্থা। আপনারা সিরিয়াস হবেন। আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে অংশ নেয় এমন সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে তার পর তফসিল ঘোষনা করবেন। এমন কিছু করবেন না যাতে নির্বাচনের পরও অর্থাৎ ২০১৯ সালের পরও দেশে থাকতে পারেন। সেই কথাটা ভেবেই আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকটি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়, যা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Azam ৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:১৭ পিএম says : 1
..47 years after our independence, we could just see the fearlessness in you, as of 2nd of March, 1971.
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:৩৬ পিএম says : 0
আব্দুর রব সাহেব বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই বিরুধী দল হয়ে নিজেদের সঙ্গী সাথিদের সাথেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর জিয়াকে গদীতে বসিয়ে নিজেদের ফায়দার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা করেন, কিন্তু বিধি বাম জিয়া মিয়া তার গদী নিষ্কলঙ্ক করার জন্যে এনাদের নেতাকে ফাঁসি দিয়ে এনাদেরকে যাবতজীবন সহ বিভন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। রব মিয়ারা পূর্ণ সাজা না খেটেই জিয়ার সাথে সমঝতা করে জেল থেকে বেড়িয়ে আসেন। তখনো তারা সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের সব কাজ করতেন, এখনও রব মিয়া বিএনপির ক্ষমতা পেয়ে আবার তার সেই সন্ত্রাসী কায়দায় চলেগেছেন। সাংবিধানিক পদমর্যাদার কর্মকর্তার সাথে বসে বেয়াদবী ও সন্ত্রাসী কায়দায় কথা বলে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখানো কোন দেশের আইন?? এটা আমরা সাধারণত দেখে থাকি পাকিদের ব্যাবহার করতে; এখন দেখছি রব মিয়া মান্না মিয়া পাকিদের কায়দায় কথা বলেন। আমি আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছি তিনি ’৭১ সালে যেই বাংলাদেশকে জন্ম দিয়েছিলেন সেই বাংলাদেশ বানিয়ে দিন। মানে আল্লাহ্‌ ’৭১ সালে এই বাংলা বাঙ্গালীদের জন্যে করেছিলেন কোন পাকি বা পকিদের দোসরদের জন্যে নয়। ওদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করে দেশ মুক্ত করা হয়েছিল তখন ওরা সাধারন ক্ষমায় রক্ষা পেয়ে ’৭৫ দেশ দখল করে নিয়ে ২৮ বছরে দেশের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লুটপাটের রজনীতি কায়েম করে। এবং বংশধরদের একই ধারায় মানে পাকি কায়দায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করার কায়দা শিখিয়ে গেছে, এরই পরিণতি আমরা দেখছি। এখন একমাত্র আল্লাহ্‌ পারেন আমাদেরকে ’৭১ এর মতো করে এই বেজাতীদের হাত থেকে রক্ষা করতে। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন